ভারতীয় জ্যোতিষের অতি প্রাচীন শাখা হলো সামুদ্রিক শাস্ত্র। দেহলক্ষণ হতে ভবিষ্যৎ নির্ণয়ের এই শাস্ত্র আবার কতগুলো উপশাখায় বিভক্ত। হস্ত, কপাল কিংবা সমগ্র অবয়বের বিচার যেমন এই শাস্ত্রের বিভিন্ন দিক দিয়ে থাকে, তেমনই মুখমণ্ডলের মধ্যে দাঁতও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
এখন দেখে নেওয়া যাক দাঁতের গঠন ও আকৃতি অনুসারে কী রূপ ফল লাভ হয়ে থাকে-
১। পুরুষের দাঁত মুক্তার মতো সাদা হলে ও সুন্দরভাবে সজ্জিত হলে তা শুভ হয়।
২। দাঁত উঁচুনিচু, দাঁতের রং ঠিক না থাকা প্রভৃতি অশুভ লক্ষণ। অবশ্য বার্ধক্যে দাঁত পড়তে বাধ্য। কিন্তু যৌবনে দাঁত খারাপ হলে তা অশুভ।
৩। সম্মুখ দন্ত দু’টি বেশি উন্নত এবং তার রং বেশি গাঢ় হলে তা শুভ লক্ষণ প্রকাশ করে। তার মধ্যে মঙ্গল প্রবল হয়। সে একটু তেজি হয়। জীবনে কষ্ট পায় না। যে কোনও ভাবে নিজ উপার্জন ঠিক করে। বেশি বয়সে ধার্মিক হয়, স্বার্থপরতা বেশি থাকে। শেষ জীবনে কষ্ট বেশি হয়।
৪। দাঁত ফাঁকা ফাঁকা হলে বা সামনের দাঁতে ফাঁক থাকলে তার অর্থ জমাতে কষ্ট হয়। তা না হলে তার অর্থ ভাল জমে থাকে। দাঁত ফাঁক হলে সে পিতৃ অর্থ বা উত্তরাধিকার সূত্রে অর্থ কম পায়।
৫। অল্প বয়সে অর্থাৎ ১৫-২০ বছর বয়সে যার দাঁত পড়ে যায় বা পোকায় খেয়ে যায়, সে অনেক কষ্টে জীবনে উন্নতি করে। তার পেট ও বুকের রোগ হওয়ার প্রবণতা থাকে। এরা খুব শান্ত, লাজুক ও ধীর হয়। কামভাব কম থাকে। তবে জীবনের মধ্যভাগের পর সুখী হয়। প্রথম জীবনে খুব কষ্ট পায়।
আরও পড়ুন: সন্তানের পড়াশোনায় মন বসে না? এই উপায়ে মিটবে সমস্যা
৬। পুরুষের সামনের দাঁত উঁচু হলে সে স্বার্থপর হয় বটে তবে উপার্জনশীল হয়। তবে আবার নানা দিকে তার অর্থ ব্যয় হয়। অর্থ জমাতে চেষ্টা করলেও সহজে জমতে চায় না।
৭। সামনের দাঁত নিচু, দুই পাটিতেই দাঁত সুসংবদ্ধ হলে সে উন্নতিশীল, উন্নত অর্থভাগ্য এবং জীবনে অনেক উচ্চ স্থান পেয়ে থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy