৬ অক্টোবর, সোমবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। প্রায় সকল বাঙালি হিন্দু বাড়িতেই এই দিন লক্ষ্মীপুজো করা হয়। আড়ম্বরের সঙ্গে এই দিন মা লক্ষ্মীকে ঘরে ডেকে নেওয়া হয়। শাস্ত্রমতে, দেবী লক্ষ্মী হলেন ধনসম্পদের দেবী। তিনি যে বাড়িতে থাকেন, সেই বাড়িতে কখনও সুখ ও ঐশ্বর্যের অভাব হয় না। লক্ষ্মীপুজোর দিন বাড়িতে বাড়িতে আলপনা দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এরই সঙ্গে আমরা খড়িমাটি ও আলতা সহযোগে মা লক্ষ্মীর পা-ও এঁকে থাকি। অনেকে কেবল আলতা বা খড়িমাটি, অথবা রং দিয়েও এঁকে থাকেন। বহু বাড়িতে দেবীর পায়ের ছাপের স্টিকারও লাগানো হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিন রাতে সেই পা অনুসরণ করে মা লক্ষ্মী আমাদের ঘরে আসেন। তবে সেই পা ভুল জায়গায় আঁকলে বা লাগালে ফল পাবেন না।
আরও পড়ুন:
বাড়ির কোন জায়গায় লক্ষ্মী ঠাকুরের পা আঁকা উচিত এবং কোথায় আঁকা উচিত নয়?
- বাড়ির সদর দরজা মা লক্ষ্মীর স্থান হলেও, সেই স্থানে মা লক্ষ্মীর পা না আঁকাই শ্রেয়। কারণ, সদর দরজার সামনে কেউ জুতো খুললে বা সেখান থেকে ঢোকার সময় সেই পায়ের ছাপে পা পড়তে পারে। তাই সদর দরজার সামনে পা আঁকা এড়িয়ে চলতে হবে। বদলে সদর দরজার সামনে ফুল-পাতার আলপনা আঁকা যেতে পারে।
- দেবী লক্ষ্মীর পা কখনও বাথরুমের সামনে আঁকা যাবে না। বাথরুম থেকে নেগেটিভ শক্তি নির্গত হয় বলে বিশ্বাস করা হয়। সে কারণে বাথরুমের সামনে মা লক্ষ্মীর পা আঁকা উচিত নয়।
- টাকা রাখার জায়গা, আলমারি, শস্য রাখার জায়গা প্রভৃতি সকল স্থানে অবশ্যই মা লক্ষ্মীর পা আঁকতে হবে। এতে দেবী অত্যন্ত প্রসন্ন হন। এরই সঙ্গে ঠাকুর রাখার জায়গার সামনেই দেবীর পা আঁকা বাঞ্ছনীয়। মা লক্ষ্মীকে যে স্থানে বসিয়ে পুজো করছেন সেই স্থানে আলপনার সঙ্গে মা লক্ষ্মীর পা-ও আঁকা আবশ্যিক। এ সকল স্থান বাদে বাড়ির যে স্থানে লোকজনের বিশেষ চলাচল নেই সেই স্থানে মা লক্ষ্মীর পা আঁকতে পারেন। কারণ দেবীর পা-এর ছাপ সেই স্থানে আঁকা উচিত যেখানে অন্যান্য লোকের পা পড়ার আশঙ্কা নেই। সেই কারণে সিঁড়িতেও দেবীর পায়ের ছাপ না আঁকাই ভাল হবে।