মা বিপত্তারিণী, যিনি সমস্ত বিপদ, বাধা বিঘ্ন থেকে রক্ষা করে সংসার মঙ্গলময় করেন।
হিন্দু শাস্ত্রে বিপত্তারিণীর ব্রত পালনের অর্থ দেবী দুর্গার আরাধনা করা। দেবী দুর্গা হিন্দুধর্মের দেবী। দেবাদীদেব মহাদেবের অর্ধাঙ্গিনী আদি শক্তি। অন্যান্য দেবী তাঁরই অবতার বা ভিন্ন রূপ। সিংহবাহিনী দেবী দুর্গা কখনও অসুরনাশিনী, আবার কখনও বা মাতৃ রূপিণী। মা বিপত্তারিণী দেবী দুর্গার ১০৮ অবতারের একটি রূপ।
আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া থেকে নবমী তিথিতে যে কোনও শনি বা মঙ্গল বারে এই ব্রত পালন করা হয়।
বিপত্তারিণী ব্রত পালনের আগের দিন হবিষ্য করার নিয়ম। না হলে নিরামিষ আহার করতে হয়।
১৩ রকম ফুল, ১৩ রকম ফল, ১৩টি পান, ১৩টি সুপারি এবং ১৩ গাছা লাল সুতোতে ১৩ গাছা দূর্বা সহযোগে ১৩টি গিঁট বেঁধে ডুরি তৈরি করতে হয়। আম্রপল্লব-সহ ঘট স্থাপন করে ব্রাহ্মণ দ্বারা নাম গোত্র সহযোগে পূজা দিতে হয়। পূজার পরে বিপত্তারিণী দেবীর ব্রতকথা শোনা পুজারই অঙ্গ।
আরও পড়ুন: মা লক্ষ্মীর কৃপা পেতে বাড়িতে অবশ্যই রাখুন এই জিনিসগুলি
লাল সুতোর ডুরি পুরুষদের ডান এবং মহিলাদের বাম হাতে ধারণ করাই নিয়ম। বিপত্তারিণী ব্রত সাধারাণত মহিলাদের ব্রত। এই ব্রত কমপক্ষে ৩ বছর পালন করা নিয়ম।
বিপত্তারিণী ব্রত পালনে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। সাংসারিক বিপদ থেকে রক্ষা করে জীবনে সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধি দান করেন মা বিপত্তারিণী।
আগামী ২৭ জুন (১২ আষাঢ়) শনিবার বিপত্তারিণী পূজা। ৩০ জুন (১৫ আষাঢ়) মঙ্গলবার শ্রীশ্রী বিপত্তারিণী ব্রত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy