৪ অগস্ট থেকে ঝুলনযাত্রা শুরু হচ্ছে, চলবে ৮ অগস্ট পর্যন্ত। বিশ্বের সকল কৃষ্ণভক্ত তথা বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বীদের কাছে এই দিনটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এ ছাড়া সকল হিন্দুরাই এই উৎসবে মেতে উঠতে পছন্দ করেন। ঝুলনের বিশেষ মাহাত্ম্য থাকায় এই পাঁচ দিন করা যে কোনও শুভ কাজের বিশেষ সুফল লাভ করা যায়। জ্যোতিষশাস্ত্রে এই দিনগুলোতে বিশেষ কিছু টোটকা পালনের কথা বলা রয়েছে। এই কাজগুলো করলে সব দিক দিয়ে উন্নতি লাভ করবেন।
আরও পড়ুন:
ঝুলনযাত্রার টোটকা:
১) ঝুলনের পাঁচ দিন রাধাকৃষ্ণের যুগল মূর্তিকে সুন্দর করে সাজিয়ে দোলনার উপর বসাতে হবে। দোলনাটিকেও খুব ভাল ভাবে সাজাতে হবে। দোলনাটিকে দোলাতে হবে পূর্ব দিক থেকে পশ্চিম দিকে। এই সময়ে রাধাকৃষ্ণের পুজো করলে সংসারের মঙ্গল হয় বলে মনে করা হয়।
২) এই সময় রাধাকৃষ্ণের যুগল মূর্তিকে হলুদ রঙের বস্ত্র, হলুদ ফুল দিয়ে সাজাতে হবে।
৩) এই পাঁচ দিনের মধ্যে যে কোনও এক দিন, অথবা পাঁচ দিনই নিজের হাতে তৈরি নৈবেদ্য রাধাকৃষ্ণের উদ্দেশে নিবেদন করুন। ভোগের মধ্যে পায়েস, ক্ষীর এবং মালপোয়া থাকলে খুবই ভাল হয়।
আরও পড়ুন:
৪) ঝুলন চলাকালীন রাধাকৃষ্ণের পুজো করার আগে তাঁদের চরণে অবশ্যই চন্দন মাখানো তুলসীপাতা অর্পণ করুন।
৫) এই সময় সর্ষের তেলের পরিবর্তে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালালে বেশি ভাল ফলপ্রাপ্তি হয়।
৬) যেখানে রাধাকৃষ্ণের যুগল মূর্তি থাকবে, সেই স্থানটা অবশ্যই ময়ূরের পালক দিয়ে সাজাতে হবে।
আরও পড়ুন:
৭) ঝুলনের পাঁচ দিন তিন বারের পরিবর্তে পাঁচ বার শঙ্খ বাজাতে হবে। তবে এই নিয়ম শুধুমাত্র ঝুলনের দিনের জন্য প্রযোজ্য।
৮) এই কয়েক দিন পুজো শেষে অবশ্যই গীতাপাঠ করুন এবং গায়ত্রী মন্ত্র জপ করুন।
৯) ঝুলনের সময় সকাল সকাল স্নান সেরে পুজো করে ঈশ্বরের কাছে নিজের মনস্কামনা জানালে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়।
১০) ঝুলন চলাকালীন নিজের সাধ্যমতো কিছু দান করুন।