অশুভ গ্রহের প্রকোপ পড়লে মানুষের সাজানো জীবন তছনছ হয়ে যেতে বেশি সময় লাগে না। যে কোনও কাজে বাধার সম্মুখীন হতে হয়। দাম্পত্য জীবনে সমস্যা থেকে কর্মক্ষেত্রে সমস্যা, জীবনের সব ক্ষেত্রেই নানা ঝামেলার মুখে পড়তে হয়। আয়ের দিক থেকেও অভাবের শেষ থাকে না। কোনও কারণ ছাড়াই ঋণের বোঝা বেড়ে চলে। কিন্তু গ্রহের খারাপ প্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য যে সর্বদা প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয় এমন ভাবার দরকার নেই। দৈনন্দিন জীবনে সহজ কিছু পরিবর্তন এনেও নিজেকে গ্রহের কোপ থেকে বাঁচানো যেতে পারে। জেনে নিন সেগুলি কী।
আরও পড়ুন:
খারাপ গ্রহের প্রকোপ থেকে বাঁচার উপায়গুলি কী কী?
১. খারাপ গ্রহের দশা চলাকালীন জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে কোনও খারাপ কাজ করা যাবে না। এতে গ্রহের প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। অন্য দিকে খারাপ কাজ করা থেকে ব্যাহত থাকলে গ্রহের ফলে হওয়া অমঙ্গলের পরিমাণ কিছুটা হলেও কমতে পারে। নেশা, মারামারি, কাউকে অসম্মান করা, মিথ্যা কথা বলা প্রভৃতি থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে।
২. সামর্থ্য অনুযায়ী দান করতে পারলে খুব ভাল হয়। সামর্থ্যের বাইরে গিয়ে কিছু করতে যাবেন না, এতে হিতে বিপরীত হয়ে পারে। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী, মন থেকে যা দিতে পারবেন, তা-ই দানের সামগ্রী হিসাবে বেছে নেবেন।
আরও পড়ুন:
৩. ইষ্টদেবতার উপাসনা করতে হবে। নিয়মিত স্নানের পর শুদ্ধ বস্ত্র পরিধান করে ঈশ্বরের আরাধনা করলে খুব ভাল ফল পাবেন।
৪. সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর পাঁচ মিনিটের জন্য হলেও ধ্যান করুন। ধ্যান করার সময় হনুমান চলিশা, গায়ত্রী মন্ত্র বা শিবের মন্ত্র জপ করুন। এই সময় অন্য কোনও দিকে মন দিলে চলবে না। একমনে ধ্যান ও মন্ত্রপাঠ করতে হবে।
আরও পড়ুন:
৫. অবোলা পশুপাখিদের খাবার দিন। বিশেষ করে গরু, কুকুর, কাক প্রভৃতি প্রাণীদের খাবার খাওয়ানো খুব ভাল। এতে ভগবান তুষ্ট হন, ঢেলে আশীর্বাদ করেন।
৬. সকালবেলা স্নান করার পর সূর্যপ্রণাম করুন। এই সময় সূর্যপ্রণামের মন্ত্র পাঠ করতে হবে।
৭. মাঝেমধ্যে সম্ভব হলে গঙ্গাস্নান করতে পারলে খুব ভাল হয়। এতে সমস্ত পাপ ধুয়ে ফেলা যায় বলে বিশ্বাস করা হয়।