রাস্তাঘাটে নজর করলে অনেকের হাতেই একটি বিশেষ আংটি দেখা যায়। নানা ধাতুর তৈরি কচ্ছপের আকৃতির আংটি। কেউ কেউ বন্ধু বা পরিচিতদের হাতে দেখে সেটিকে ধারণ করেন, কেউ আবার অন্যের পরামর্শ শুনে সেটি আঙুলে পরে ফেলেন। অর্থ ও সৌভাগ্যের কথা ভেবে অনেকেই কচ্ছপের আংটি ধারণ করেন। অতীতে অবশ্য এই বিশেষ নকশার আংটি পরার এত চল ছিল না। হঠাৎ করে প্রায় সকলের হাতেই শোভা পেতে শুরু করেছে আংটিটি। কারণ, বাস্তুমতে এই আংটি সম্পদ ও সাফল্যের প্রতীক। তবে যখন-তখন নিয়ম না মেনে যে কেউ এই কচ্ছপের আংটি পরলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
আরও পড়ুন:
কারণ জ্যোতিষ ও বাস্তুশাস্ত্রে এই কচ্ছপের আংটির বিভিন্ন তাৎপর্য রয়েছে। অঙ্গুরীয়টি পরিধান করার নির্দিষ্ট কয়েকটি নিয়মও রয়েছে৷ সকল রাশির জন্য এই আংটি ফলদায়ক না-ও হতে পারে বলে উল্লেখ আছে শাস্ত্রে। কচ্ছপকে জ্যোতিষশাস্ত্রে খুব ভাগ্যবান প্রাণী হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বলা হয়, এটি পরলে ধনদেবীর কৃপা পাওয়া যায়। জীবনের সব বাধা কেটে শুভ ফল দান করে কচ্ছপের আংটি। জীবনে স্থিতিশীলতা ও ধৈর্য আসে। মানসিক উদ্বেগ দূর হয়।
তাই বলে যত্রতত্র থেকে কেনা আংটি পরলে কাঙ্ক্ষিত ফল না-ও মিলতে পারে। পরার আগে যাচাই করে নিতে হবে কোন ধাতু দিয়ে এটি তৈরি। কোন দিনে আংটিটি পরলে সুফল মিলবে তা-ও জেনে নেওয়া দরকার। বিশেষজ্ঞেরা বলেন, যদি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ‘টার্টল রিং’ পরা হয় সংসারে কোনও দিন সুখের অভাব ঘটবে না। অভাব ত্রিসীমানায় ঘেঁষবে না।
আরও পড়ুন:
কচ্ছপ আংটি পরার নিয়ম:
- রুপো দিয়ে তৈরি করা কচ্ছপ আংটি পরাই বাঞ্ছনীয়। অন্য কোনও ধাতুর তৈরি কচ্ছপের আংটিতে কোনও ফল মেলে না বলে জানাচ্ছেন শাস্ত্র বিশারদেরা।
- ডান হাতের মধ্যমা বা তর্জনীতে কচ্ছপের আংটি ধারণ করা শুভ।
আরও পড়ুন:
- আংটি পরার সময় খেয়াল রাখতে হবে কচ্ছপের মুখ যে ব্যক্তি পরছেন তাঁর দিকেই যেন থাকে। এতেই অর্থ আকৃষ্ট হবে এবং সংসারে সুখ-সমৃদ্ধি উপচে পড়বে। বিপরীত দিকে মুখ থাকলে অর্থ নষ্ট হবে।
- শুদ্ধ বস্ত্রে আংটি গঙ্গাজলে দুধ মিশিয়ে পাত্রে রেখে শোধন করে তার পরে মা লক্ষ্মীর পায়ে ঠেকিয়ে পরতে হবে৷