দুর্গাপুজো শেষের মনখারাপ এখন অতীত। বিশ্বের প্রায় সকল প্রান্তের হিন্দুরা এখন মেতে উঠেছেন আলোর উৎসবের আনন্দে। ২০ অক্টোবর ২০২৫, সোমবার দীপাবলি। এই দিন আড়ম্বরের সঙ্গে মা কালীর আরাধনা করা হয়। এরই সঙ্গে অনেক বাড়িতে মা লক্ষ্মীর পুজো করা হয় এবং বাড়ি থেকে অলক্ষ্মীকে বিদায় জানানো হয়। দীপাবলির আগে থেকেই বাড়িতে বাড়িতে আলো লাগানো হয়। এরই সঙ্গে প্রদীপ জ্বালানোরও চল রয়েছে। বিশ্বাস করা হয় যে, দীপের আলোর শিখায় অশুভ শক্তির প্রভাব থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। আমাদের ধর্মে ঘিয়ের প্রদীপেরও যেমন চল রয়েছে, তেমনই চল রয়েছে তেলের প্রদীপ জ্বালারও। কিন্তু দীপাবলির সন্ধ্যায় কোন প্রদীপ জ্বালানো শাস্ত্রসম্মত, সেটা অনেকেরই জানা নেই। সেই ব্যাপারে হদিস দিলেন জ্যোতিষী।
আরও পড়ুন:
ঘিয়ের প্রদীপ: হিন্দুধর্মে ঘিয়ের প্রদীপের আলাদা মাহাত্ম্য রয়েছে। এই প্রদীপ জ্বালিয়ে গণেশ ও দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করলে সমৃদ্ধি লাভ করা যায় বলে বিশ্বাস করা হয়। দীপাবলির সময় ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানো খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। এতে বাড়ির উপরে থাকা কালো ছায়া কেটে যায়। বাড়ির সদস্যদের সফলতার পথে থাকা বাধা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
তেলের প্রদীপ: ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানো যেমন শুভ, তেমনই তেলের প্রদীপ জ্বালানোও শুভ। কালীপুজোর সন্ধ্যায় বেশির ভাগ বাড়িতে তেলের প্রদীপই জ্বালানো হয় কারণ এতে পকেটে টান পড়ে না। ঘিয়ের প্রদীপের তুলনায় তেলের প্রদীপ জ্বালানোর খরচ অপেক্ষাকৃত কম। এই প্রদীপেও যে দেবী তুষ্ট হন না তা কিন্তু নয়। শুদ্ধ মনে দেবীর উদ্দেশে তাঁর ভক্তেরা যা নিবেদন করেন, দেবী তাতেই প্রসন্ন হন। কালীপুজোর সন্ধ্যায় তাই কোনও চিন্তা ছাড়াই তেলের প্রদীপ জ্বালানো যেতে পারে।
ঘি হোক বা তেল, যে কোনও প্রদীপই কালীপুজোর সন্ধ্যায় জ্বালানো যাবে। এতে ক্ষতি হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। তবে এই দিন সন্ধ্যায় বাড়িতে যদি দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়, তা হলে একটি হলেও ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালাতে পারলে খুবই ভাল হয়।যে স্থানে দেবীকে পুজো করা হয় প্রদীপটি সেই স্থানে জ্বালাতে হবে। সারা রাত প্রদীপটিকে জ্বালিয়ে রাখতে পারলে খুবই ভাল।