হিন্দুধর্মে তুলসীর মাহাত্ম্য বিশেষ। তুলসীগাছ হোক বা তুলসীপাতা, দুই-ই আমাদের নানা কাজে লাগে। স্বাস্থ্যের মান ভাল রাখা থেকে পুজোআচ্চার কাজ— সবেতেই তুলসীর গুরুত্ব প্রভূত। বাড়িতে তুলসীগাছ রাখার গুণও অনেক। শাস্ত্রমতে, তুলসী হল বিষ্ণুরই রূপ। তাই সকল হিন্দু বাড়িতেই তুলসীগাছ রাখার নিদান দেওয়া রয়েছে শাস্ত্রে। কিন্তু এই গাছ রাখার ব্যাপারে বিশেষ কিছু জিনিস মাথায় রাখা জরুরি। কারণ, তুলসীগাছ রাখার ব্যাপারে ভুল হলে ঘোর অমঙ্গল হয়ে যেতে পারে বলে জানাচ্ছে জ্যোতিষশাস্ত্র। এমন কিছু জিনিস রয়েছে যা তুলসীগাছের কাছে রাখা যায় না। এতে ভাগ্যের অবনতি ঘটে বলে বিশ্বাস করা হয়। জেনে নিন জিনিসগুলি কী কী।
আরও পড়ুন:
-
শনির কোপে জেরবার জীবন? রক্ষা করবেন মা দুর্গা! পুজোর পাঁচ দিন সহজ চার টোটকা পালনে সুন্দর হবে জীবন
-
পুজোর পাঁচ দিনের মধ্যে লটারি কেটে ‘ছক্কা হাঁকাবেন’ পাঁচ রাশি! বাকিদের ভাগ্যে কী রয়েছে? খোঁজ দিলেন জ্যোতিষী
-
অর্থচিন্তা কাকে বলে জানেন না, ছোটবেলা থেকেই টাকার বিছানায় গড়াগড়ি খান ছয় রাশি! কোটিপতির দৌড়ে এগিয়ে যাঁরা
তুলসীগাছের কাছে কোন কোন জিনিস রাখা যাবে না?
- তুলসীগাছের কাছে কখনও আবর্জনা রাখা উচিত নয়। যে স্থানে ময়লা ফেলা হয়, তার পাশে ভুলেও তুলসীগাছ রাখবেন না। সেই স্থানে যদি তুলসীগাছ জন্মায়ও, সেটিকে তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে তুলে অন্য স্থানে পুঁতে দিতে হবে।
- চটি-জুতো রাখার জায়গার কাছেও তুলসীগাছ রাখা যাবে না। এতে বাড়িতে নেগেটিভ শক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন:
- কোনও লোহার জিনিসও তুলসীগাছের কাছে রাখা যাবে না বলে জানাচ্ছে শাস্ত্র। এতে বাস্তুর দোষ সৃষ্টি হতে পারে। জীবন থেকে সুখ-সমৃদ্ধি বিদায় নেবে বলে মনে করা হয়।
- তুলসীগাছের কাছে কখনও আমিষ খাবার রাখতে নেই। এমনকি আমিষ খাবার গ্রহণের পর তুলসীগাছ স্পর্শ না করাও ভাল হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
- নেশাজাতীয় দ্রব্যকে তুলসীগাছ থেকে দূরে রাখতে হবে। না হলে জীবনে নেমে আসবে ঘোর অমঙ্গল।