প্রতি মানুষেরই একটি নির্দিষ্ট জন্মসংখ্যা থাকে। আপনি কোন বছরের কোন মাসের কোন দিন জন্মেছেন সেটির বিচার করে নানা তথ্য বলে দেওয়া সম্ভব। এই কাজে আমাদের সাহায্য করে সংখ্যাতত্ত্ব। সংখ্যাতত্ত্ব জ্যোতিষশাস্ত্রের এক অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের জন্মসংখ্যা আমাদের ভাগ্যকে নানা ভাবে প্রভাবিত করে। এর ফলে আমাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে যেমন নানা দিক দেখা যায়, তেমনই জীবনের উপরও নানা প্রভাব পড়ে।
সংখ্যাতত্ত্ব মতে, বিশেষ এক জন্মসংখ্যার ব্যক্তিরা বিয়ের আগে সফলতা পান না। এঁদের ভাগ্যে বিয়ের পরই চমক লাগে। অর্থ, খ্যাতি, যশ সবই পান, তবে সবটাই বিবাহ-পরবর্তী সময়ে গিয়ে। বিয়ের আগে বহু চেষ্টা করলেও এঁদের ভাগ্যের সদ্গতি হয় না। কোন জন্মসংখ্যার ব্যক্তিদের সঙ্গে এমনটা হয় এবং কেন হয় জেনে নিন।
কোন জন্মসংখ্যার ব্যক্তিরা বিয়ের পরে সফলতা পান?
৭ জন্মসংখ্যার জাতক-জাতিকারা বিয়ের আগে বিশেষ সফলতা লাভ করেন না। যে সকল ব্যক্তির জন্মদিন, জন্মের মাস ও জন্মসাল হিসাব করে ৭ সংখ্যাটি বেরোয়, তাঁদের জন্মসংখ্যা হল ৭। এঁদের উপর কেতুর প্রভাব থাকে। এঁরা সংবেদনশীল প্রকৃতির হন। এঁরা যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে খুব ভেবেচিন্তে এগোন।
৭ জন্মসংখ্যার ব্যক্তিরা কেন বিয়ের পরে সফলতা পান?
কেতুর প্রভাবে ৭ জন্মসংখ্যার ব্যক্তিদের জীবনে শৃঙ্খলার অভাব দেখা যায়। এঁদের যে কোনও একটি বিষয়ে মনোনিবেশ করতেও অসুবিধা হয়। তবে বিয়ের পর এঁদের জীবনে স্থিতিশীলতা আসে। এঁরা শৃঙ্খলাপরায়ণ হন। বিয়ে এই জন্মসংখ্যার ব্যক্তিদের কাছে কেবল একটি সম্পর্কই নয়, তার থেকেও অনেক বেশি কিছু। বিয়ে এঁদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে শেখায়। মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এঁদের জীবনসঙ্গী এঁদের সঠিক পথে চালনা করতে সহায়তা করেন। সঙ্গীর হাত ধরে এঁরা যে কোনও যুদ্ধ জয় করতে পারেন। তাই বিয়ের পরই এঁরা পেশাক্ষেত্রে পূর্ণ সফলতা পান।