শনি আগামী ১৩ জুলাই ২০২৫, ভারতীয় সময় সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে গতি পরিবর্তন করে বক্রগতি প্রাপ্ত হবে। আগামী ২৮ নভেম্বর ২০২৫ সকাল ৯টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত শনি বক্রগতিতে অবস্থান করবে। বক্রগতি প্রাপ্তি কালে শনি মীন রাশিতে ৭ ডিগ্রি ৪৩ মিনিটে বা উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্রে অবস্থান করবে এবং ০ ডিগ্রি ৫৬ মিনিট বা পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্র পর্যন্ত পশ্চাৎগামী হবে।
বক্রগতি প্রাপ্ত হওয়ার অর্থ পূর্ববর্তী রাশির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা। পূর্ববর্তী রাশি কুম্ভ হল শনির নিজক্ষেত্র। পূর্ববর্তী রাশির পূর্ব ভাদ্রপদ নক্ষত্রে এই মুহূর্তে উত্তর গাণিতিক বিন্দু বা রাহুর অবস্থান রয়েছে। বক্রগতির কারণে শনি এবং রাহু উভয়েরই সক্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে। এই সময়কালে সব মানুষই জন্মছকে শনি এবং রাহুর অবস্থান অনুযায়ী ফল লাভ করবেন। অর্থাৎ, জন্মছকে শনি অশুভ হলে অশুভ ফল প্রাপ্তির পরিমাণ বাড়বে। রাহুর ক্ষেত্রেও একই ফল প্রাপ্তি হবে।
যাদের জন্মছকে শনি বা রাহু অশুভ, তাঁদের অবশ্যই বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নচেৎ ঘোর অমঙ্গলের মুখে পড়তে হতে পারে। প্রতিকার হিসাবে শনিদেব, দেবী দক্ষিণাকালী, বজরংবলি এবং দেবাদিদেব মহাদেবের আরাধনা করা উচিত।
আরও পড়ুন:
এ ছাড়া, বাড়িঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। বাড়িতে ছেঁড়া জুতো, অব্যবহৃত জুতো জমিয়ে রাখা যাবে না। অনেক সময় শখ করে ভিন্ন ধরনের একাধিক জুতো জোড়া রাখতেই হয়, সে ক্ষেত্রে অব্যবহৃত জুতো জুতোর বাক্সে সুন্দর করে গুছিয়ে রাখা উচিত। অন্যথায় উক্ত জুতো শনির অশুভ প্রভাব বৃদ্ধি করবে।
আরও পড়ুন:
বন্ধ ঘড়ি, অচল বৈদ্যুতিন জিনিস, যেমন অচল টিভি, টেপ, ক্যামেরা, মোবাইল ইত্যাদি বাড়ি থেকে দূর করতে হবে। ঘড়ি বন্ধ হলে হয় সারান বা সরান। অচল বৈদ্যুতিন জিনিস বাড়ি থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। অনেকের পুরনো জিনিস সংগ্রহ করার শখ থাকে, তাঁদের ক্ষেত্রে সেই সকল বস্তু সুন্দর করে পরিষ্কার করে স্বচ্ছ মোড়কে ঢেকে সাজিয়ে রাখতে হবে। লক্ষ্য রাখবেন, ধুলো এবং ঝুল যেন তাতে না জমে। অন্যথায় রাহু-কেতুর অশুভ প্রভাব বৃদ্ধি পাবে। বাড়িতে ঝুল জমলে তা যত শীঘ্র সম্ভব পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুন:
অব্যবহৃত, বিশেষত ভাঙা, মরচে পড়া লোহা এবং স্টিলের বাসন বাড়িতে জমিয়ে রাখা বা ব্যবহার করা যাবে না। শুধু লোহা বা স্টিল কেন, যে কোনও ভাঙা, অব্যবহৃত বাসন, পুরনো অব্যবহৃত জং পড়া তালা, চাবি হারানো তালা কোনও সময়ই বাড়িতে রাখা যাবে না। বিশেষ করে এই সময় তো কোনও ভাবেই রাখবেন না। অযথা আতঙ্কিত না হয়ে জীবনধারার কিছু পরিবর্তন করুন। জীবনধারার পরিবর্তন অবশ্যই গ্রহের অশুভ প্রভাব হ্রাস বা নাশ করবে।