অভাবের তাড়নায় কিংবা পরিস্থির চাপে পড়ে অনেকেই ঋণ নিতে বাধ্য হন। কিন্তু ঋণ মানুষের জীবনে অভিশাপের মতো। জ্যোতিষ মতে, গ্রহের বিভিন্ন অবস্থানের ফলে মানুষের জীবনে আর্থিক সমস্যা তৈরি হয়। যে কারণে অনেকেই টাকা ধার নিতে বা ঋণ করতে বাধ্য হন। তবে ঋণ থেকে মুক্তির পথ খুব একটা সহজ নয়। এর জন্য ঋণগ্রস্থদের অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়।
আরও পড়ুন:
জেনে নিন গ্রহের কোন কোন অবস্থানে ঋণযোগ তৈরি হয়—
প্রথমে আমাদের ধনভাব বিচার করা দরকার, কারণ ধনভাব শুভ থাকলে আর্থিক বুনিয়াদও ভাল থাকবে। যেমন ধনপতি বলহীন, বৃহস্পতি দ্বাদশে এবং লগ্নে শুভ গ্রহের দৃষ্টি না থাকলে ধননাশ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। দ্বিতীয় বা ধনাদিপতি গ্রহ ষষ্ঠে, অষ্টমে কিংবা দ্বাদশে থাকলে ধননাশ আশঙ্কা তৈরি হয়।
ঋণগ্রস্থ করার ব্যাপারে রাহু, শনি, শুক্র এবং কেতুর প্রভাব অনেকটা থাকে। ব্যয়স্থানে শুক্র অথবা রাহু থাকলে ঋণগ্রস্থ হতে হয়। রাহুযুক্ত ব্যয় ভাবে থাকলেও জাতক-জাতিকা ঋণগ্রস্থ হতে পারেন।
ধনস্থান পাপ গ্রহ যুক্ত, লগ্নপতি ব্যয়স্থানগত কিংবা কর্মপতি অর্থাৎ, দশমপতি যদি একাদশপতির সঙ্গে যুক্ত হয়, তা হলে ঋণগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরও পড়ুন:
শনি দ্বিতীয়ে বা ধনস্থানে অবস্থান করলে, ধনস্থানকে ঋণী করায় এবং অর্থের জোগান বন্ধ বা কম করতে পারে। এর জন্য ঋণী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
দ্বাদশে বা ব্যয়স্থানে শনিও আর্থিক সঙ্গতিহীন করে বা ঋণগ্রস্থ করাতে পারে।
অনেক সময়ে দেখা যায়, কালসর্পযোগেও ঋণী হতে হয়।