সন্দীপ আদিবাসী ছবি: টুইটার থেকে।
দিনে ৪০টি রুটি খেত ১২ বছরের এক ছেলে। তার রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে হয়েছিল ১২০৬ মিলিগ্রাম। কমে গিয়েছিল দৃষ্টিশক্তি। শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের শিবপুরী জেলার খোড় গ্রামে। ছেলেটির নাম সন্দীপ আদিবাসী। তার পরিবার জানিয়েছে, ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি হারাতে শুরু করে সন্দীপ। এক দিন বাড়িতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায় সে। তার পরেই তার বাবা বনওয়াড়ি আদিবাসী ছেলেকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন তার রক্তে শর্করার মাত্রা ১২০৬ মিলিগ্রাম। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে যখন ছেলেটিকে নিয়ে আসা হয় তখন শুধু তার নিঃশ্বাস পড়ছিল। শরীরের অনেক অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল।
দীপক গৌতম নামের এক চিকিৎসক বলেন, ‘‘রক্তে শর্করার মাত্রা অস্বাভাবিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়া শুধু নয়, সন্দীপের মাথায় পুঁজ-রক্ত জমে গিয়েছিল। অনন্ত রাখোড় নামের এক শল্য চিকিৎসক মাথা থেকে ৭২০ মিলিগ্রাম পুঁজ-রক্ত বার করেন।’’ অনন্ত বলেন, ‘‘মাথায় পুঁজ-রক্ত জমে যাওয়ার ফলেই সন্দীপ অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। একই কারণে তার দৃষ্টিশক্তিও কমে গিয়েছিল। রক্তে শর্করার মাত্রা কমানোর জন্য প্রতিদিন তাকে ৬ ইউনিট করে ইনসুলিন দেওয়া হয়।’’
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার পরেই সন্দীপের চোখের পরীক্ষা করে চিকিৎসা শুরু হয়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তার চোখে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সন্দীপের পরিবার তাতে রাজি হলে ছেলেটির দুই চোখেই অস্ত্রোপচার করা হয়। অবশেষে নিজের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছে সন্দীপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy