হৃদ্রোগের ওষুধ থেকে রক্তচাপ কমানোর ওষুধ। তালিকায় রয়েছে জ্বর-সর্দি বাগে আনার প্যারাসিটামলও। গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষায় ডাহা ফেল করল বিভিন্ন সংস্থার ১৪৫টি ওষুধ। এগুলির মধ্যে ৫২টি ওষুধ কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছে। আর বিভিন্ন রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলের পরীক্ষায় ফেল করেছে এ দেশে বহুল ব্যবহৃত ৯৩টি ওষুধ। কলকাতার সেন্ট্রাল ড্রাগে ল্যাবরেটরিতেও বেশ কয়েকটি ওষুধের গুণমান যাচাই করা হয়েছে।
জানুয়ারি মাসে গোটা দেশে বিভিন্ন ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলির গুণমান যাচাই করে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজ়েশন। প্রত্যেক রাজ্যের ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবেও ওষুধের গুণমান যাচাইয়ের পরীক্ষা হয়। জানুয়ারি মাসে এই ১৪৫টি ওষুধকে ‘নট অফ স্ট্যান্ডার্ড কোয়ালিটি’ বা ‘সঠিক গুণমানের নয়’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
এই ১৪৫টি ওষুধের মধ্যে রয়েছে ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস’-এর তৈরি ১৬টি ব্যাচের রিঙ্গার্স ল্যাকটেট এবং অন্যান্য স্যালাইনও। বাকি ওষুধগুলি তৈরি হয় ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। নামী সংস্থার তৈরি বেশ কয়েকটি ওষুধও আছে এই তালিকায়।
সম্প্রতি মেদিনীপুরের মেডিক্যাল কলেজে ছ’জন প্রসূতিকে ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস’-এর তৈরি একটি বিশেষ ব্যাচ (২৩৯৬) নম্বরের স্যালাইন দেওয়ার পরে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের মধ্যে এক জনের পরে মৃত্যুও হয়। এর পরেই জানা যায়, স্যালাইনের গুণমান বজায় রাখা এবং জীবাণুমুক্ত করার যে প্রক্রিয়া, তাতে ওই নির্দিষ্ট ব্যাচের স্যালাইনটি উতরোয়নি। সে কথা জানিয়েছিল সেন্ট্রাল ড্রাগ কন্ট্রোল অর্গানাইজ়েশন নামে ওই রাজ্যের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তাঁরা ওই সংস্থার ওই ব্যাচের স্যালাইন তৈরির কাজ স্থগিত রাখতেও বলে। কিন্তু তার পরেও সেই স্যালাইন এসে পৌঁছোয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে।