Advertisement
E-Paper

তিন মাসে ১৭৯ সদ্যোজাতের মৃত্যু একটি মাত্র হাসপাতালে! বিবিধ কারণ, চিন্তায় প্রশাসন

মহারাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে গত তিন মাসে ১৭৯টি সদ্যোজাত শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বেশির ভাগের বয়স ০ থেকে ২৮ দিন। মৃত্যুর নেপথ্যে বিবিধ কারণ রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:০০
An image representing death

—প্রতীকী চিত্র।

মহারাষ্ট্রের একটি হাসপাতালে গত কয়েক দিনে পর পর অনেক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত তিন মাসের পরিসংখ্যান বলছে, ওই সময়ের মধ্যে হাসপাতালটিতে ১৭৯ জন শিশু মারা গিয়েছে। তারা সকলেই সদ্যোজাত। শূন্য থেকে ২৮ দিন বয়সের মধ্যেই অধিকাংশ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।

মহারাষ্ট্রের নানদুরবার সিভিল হাসপাতালের ঘটনা। সেখানকার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এম শাওয়ান কুমার জানিয়েছেন, এই শিশুদের মৃত্যুর নেপথ্যে কোনও একটি কারণকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না। বিবিধ কারণ রয়েছে সদ্যোজাতদের মৃত্যুর পিছনে। যা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও চিন্তায় রেখেছে।

কোনও শিশুর জন্মের পর ওজন অস্বাভাবিক কম ছিল, কারও জন্ম থেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। নানা ধরনের রোগ নিয়ে জন্মেছিল ওই শিশুরা। উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের নানদুরবার জেলাতে মূলত জনজাতি সম্প্রদায়ের বাস। তাঁরা অনেকেই অপুষ্টির শিকার। অপুষ্টির কারণেই বেশির ভাগ সদ্যোজাত মারা গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আবার সাপের কামড়, দুর্ঘটনা কিংবা জন্মের পর নিউমোনিয়ার মতো রোগও ডেকে এনেছে মৃত্যু।

পরিসংখ্যান বলছে, নানদুরবারের হাসপাতালে জুলাই মাসে ৭৫টি শিশু মারা গিয়েছিল। অগস্টে মৃত্যু হয় আরও ৮৬ জনের। সেপ্টেম্বরে এখনও পর্যন্ত ১৮টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এই ১৭৯ সদ্যোজাতের মধ্যে ২০ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে সময়ে চিকিৎসা পরিষেবা না পাওয়ার কারণে। অনেক ক্ষেত্রে হাসপাতালে না এসে বাড়িতেই প্রসব করেছেন মায়েরা। পরে হাসপাতালে নিয়ে এলে শিশুকে আর বাঁচানো যায়নি।

শিশুমৃত্যু ঠেকাতে নানদুরবার প্রশাসনের তরফে ‘মিশন লক্ষ্য ৮৪ দিন’ নামের একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। ঘরে ঘরে স্বাস্থ্য পরিষেবা, পুষ্টিকর খাদ্যের জোগান এবং সর্বোপরি, প্রসব সম্পর্কে মানুষের মনে সচেতনার প্রসার ঘটানো এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য।

Child death Child Death Case Maharashtra
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy