Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Poverty

দেশে গরিব মানুষ কমেছে ৪১.৫ কোটি, দরিদ্র রাজ্যগুলির মধ্যে নেই বাংলা, বলছে অক্সফোর্ডের রিপোর্ট

দেশে দারিদ্র্য কমার সাফল্য নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপড়েন। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের দাবি, এটা ইউপিএ সরকারের আমলে গরিব মানুষের কল্যাণে কাজের ফল।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গরিব মানুষের বাস ভারতেই।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গরিব মানুষের বাস ভারতেই। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২২ ০৭:৪৬
Share: Save:

গত দেড় দশকে দেশে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। গত কাল আন্তর্জাতিক দারিদ্র দূরীকরণ দিবসে ইউনাইটেড নেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম এবং অক্সফোর্ড পভার্টি অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের তৈরি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তাতে উল্লেখ, ২০০৫-০৬ থেকে ২০১৯-২১-এর মধ্যে ভারতে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ৪১.৫ কোটি কমেছে। ওই রিপোর্টেই বলা হয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গরিব মানুষের বাস এই ভারতেই। উল্লেখ করার মতো বিষয় হল, গরিব রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ নেই।

দেশে দারিদ্র্য কমার সাফল্য নিয়ে শুরু হয়েছে টানাপড়েন। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের দাবি, এটা ইউপিএ সরকারের আমলে গরিব মানুষের কল্যাণে কাজের ফল। প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সঞ্জীব সান্যালের দাবি, মোদী জমানাতেই কমছে গরিব মানুষের সংখ্যা।

গত ১৫ বছরে ভারতে যে পরিমাণ গরিব মানুষের সংখ্যা কমেছে তাকে ‘ঐতিহাসিক পরিবর্তন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে। রাষ্ট্রপুঞ্জের আশা, ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র দূরীকরণের ক্ষেত্রে ভারত উদাহরণ তৈরি করতে পারে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০০৫-০৬ সালে দারিদ্রের হার ৫৫.১ শতাংশ থেকে কমে ২০১৯-২১-এ দাঁড়িয়েছে ১৬.৪ শতাংশে। প্রতিবেদনে ভারতে দারিদ্রের উপরে কোভিড অতিমারির প্রভাবকে মূল্যায়ন করা হয়নি। কারণ, জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষা-৫ (২০১৯-২০২১) থেকে ৭১ শতাংশ তথ্য অতিমারির আগেই সংগ্রহ করা হয়েছিল। প্রতি পরিবারের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জীবনধারণের মান-সহ ১০টি সূচকের উপর নির্ভর করে ওই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে।

২০২০ সালের জনসংখ্যার ভিত্তিতে ভারতে সবচেয়ে বেশি গরিব মানুষ বাস করেন। এ দেশে ০-১৭ বছরের মধ্যে দরিদ্র নাবালকের সংখ্যা বিশ্বের ২১ শতাংশ। রিপোর্ট অনুযায়ী, শহরের জনসংখ্যার ৫.৫ শতাংশ মানুষ দরিদ্র সীমার নীচে বাস করেন। তুলনায় গ্রামে সেই হার ২১.২ শতাংশ।

বিহার ২০১৫-১৬’য় ছিল সবচেয়ে গরিব রাজ্যের তালিকায়। তবে সেখানে ২০১৯-২১ এ দারিদ্রের মাত্রা কিছুটা কমেছে। ২০০৫-০৬ এ নীতীশ কুমারের রাজ্যে দারিদ্রের হার ছিল ৭৭.৪ শতাংশ, যা ২০১৫-১৬’য় নেমে যায় ৫২.৪ শতাংশে। ২০১৯-২১ পর্বে তা আরও হ্রাস পেয়ে হয় ৩৪.৭ শতাংশ। তবে ২০১৫-১৬ বর্ষে দেশের ১০টি দরিদ্রতম রাজ্যের তালিকায় থাকা পশ্চিমবঙ্গের হাল ফিরেছে। ২০১৯-২১ বর্ষে সবচেয়ে গরিব ১০ রাজ্যের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ নেই।

দেশে গরিব মানুষের সংখ্যা কমা নিয়ে পি চিদম্বরমের টুইট, ‘১৭ অক্টোবর যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে তাতে স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে, ইউপিএ-র ১০ বছরের শাসনকালে ২৭.৩৯ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার উপরে উঠে এসেছেন’। আর সঞ্জীব সান্যালের টুইট, ‘২০০৫-০৬ থেকে ২০১৫-১৬ পর্যন্ত বছরে দারিদ্র হ্রাস পেয়েছে ৮.১ শতাংশ হারে। ২০১৫-১৬ থেকে ২০১৯-২১ পর্যন্ত তা ছিল ১১.৯ শতাংশ। তবে এ নিয়ে কোনও রাজনীতি করতে চাই না।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Poverty India United Nation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE