প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আকাশে ওড়ার এক বছরের মধ্যেই সঙ্কটে আকাসা এয়ার। একসঙ্গে ৪৩ পাইলট কাজ থেকে ইস্তফা দেওয়ায় পরিষেবায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। তাই শেষমেশ বাধ্য হয়েই ৬০০-৭০০টি বিমান বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দিল্লি হাই কোর্টে নিজেদের সঙ্কটময় পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেছে বিমান সংস্থাটি।
আদালতে তারা জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরে ৬০০-৭০০টি বিমান বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক পাইলট ইস্তফা দেওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সংস্থার আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, আচমকাই ইস্তফা দিয়েছেন ৪৩ পাইলট। তাঁরা সকলেই নোটিস পিরিয়ডে ছিলেন। কিন্তু সেই সময়সীমার আগেই সংস্থা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ছেড়ে যাওয়া কর্মীদের মধ্যে কেউ ফার্স্ট অফিসার, কেউ ক্যাপ্টেন ছিলেন। ইস্তফা দেওয়ার পর ছ’মাস থেকে এক বছর নোটিস পিরিয়ডে থাকতে হয় তাঁদের। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তাঁরা সংস্থার নিয়ম মানেননি। আচমকা সংস্থা ছেড়ে চলে যাওয়ায় বিমান পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে আদালতে জানিয়েছেন আকাসা এয়ারের আইনজীবী।
তিনি আরও জানিয়েছেন, একসঙ্গে এত জন পাইলট সংস্থা ছেড়ে চলে যাওয়ায় সেপ্টেম্বরে প্রতি দিন প্রায় ২৪টি করে বিমান বাতিল করতে হচ্ছে। আর এর জেরে সংস্থাকে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। বিমান সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, অগস্টে প্রায় ৬০০টি বিমান বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ভাবে পাইলটরা ছেড়ে চলে গেলে সেপ্টেম্বরেও আরও ৬০০-৭০০ বিমান বসিয়ে দিতে হবে। প্রসঙ্গত, আকাসা এয়ার বিভিন্ন রুটে প্রতি দিন ১২০টি বিমান চালায়।
বুধবার বিমান সংস্থার সিইও বিনয় দুবে জানান, খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেক পাইলট নোটিস পিরিয়ড না মেনেই সংস্থা ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ফলে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিমান পরিষেবায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। শেষ মুহূর্তে বহু বিমান বাতিলও করতে হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy