দেশ-বিদেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভে হাজির হচ্ছেন কোটি কোটি পুণ্যার্থী। এ বার পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশ থেকে হাজির হলেন ৬৮ জন হিন্দু পুণ্যার্থী। বৃহস্পতিবার তাঁরা ত্রিবেণী সঙ্গমে পুণ্যস্নান করেন। ওই পুণ্যার্থীরা জানিয়েছেন, কুম্ভে আসার ইচ্ছা ছিল। সেই ইচ্ছা পূরণ হল তাঁদের।
পাকিস্তান থেকে আসা এই পুণ্যার্থীদের সঙ্গে ছিলেন মহন্ত রামনাথ। তিনি জানান, সিন্ধ প্রদেশ থেকে ৬৮ জনের একটি দল প্রথমে হরিদ্বারে আসেন। সেখানে পিতৃপুরুষদের অস্থি বিসর্জন করেন তাঁরা। তার পর সেখান থেকে প্রয়াগরাজে এসেছেন। ৯ নম্বর সেক্টরের শ্রী গুরু কার্শনি শিবিরে উঠেছেন সিন্ধবাসী গোবিন্দরাম মাখেজা। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি জানিয়েছেন, গত দু’-তিন মাস ধরে মহাকুম্ভের কথা শুনছিলেন তাঁরা। তার পর স্থির করেন কুম্ভযাত্রা করবেন। আর সেই টানেই ভারতে ছুটে এসেছেন তিনি।
গোবিন্দরাম জানিয়েছেন, সিন্ধ প্রদেশ থেকে আরও ২৫০ জন প্রয়াগরাগে এসেছিলেন গত বছরের এপ্রিলে। তবে সিন্ধ থেকে কুম্ভে তাঁরাই প্রথম এসেছেন বলে জানিয়েছেন গোবিন্দরাম। সিন্ধের ছ’টি জেলা যেমন ঘোটকি, সুক্কুর, খাইরপুর, শিখরপুর, কারকোট এবং জটাবল থেকে মোট ৬৮ জন এসেছেন। গোবিন্দরাম বলেন, ‘‘এ এক অপূর্ব অনুভূতি। ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’’ এই দলেই রয়েছে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। সে জানিয়েছে, এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হল সে। এই প্রথম ভারত সফর তার। তার কথায়, ‘‘এই প্রথম খুব কাছ থেকে আমার ধর্মের সংস্কৃতিকে চাক্ষুষ করলাম। অভূতপূর্ব।’’
সিন্ধেরই আর এক বাসিন্দা প্রিয়ঙ্কার কণ্ঠেও একই কথা শোনা গিয়েছে। তিনিও প্রথম বার ভারতে এলেন বলে জানিয়েছেন। গোবিন্দরাম জানিয়েছেন, শনিবার রাইপুরে যাবেন তাঁরা। আবার সেখান থেকে হরিদ্বার। তার পর সিন্ধ প্রদেশের উদ্দেশে রওনা দেবেন।