ফাইল চিত্র।
সুষম খাদ্য হাতের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে কমপক্ষে ৭১% ভারতবাসীর। রাষ্ট্রপুঞ্জের ‘ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজ়েশন’ (এফএও)-র এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, সংখ্যার নিরিখে দেখতে গেলে এই মুহূর্তে ভারতের প্রায় ৯৭ কোটি বাসিন্দা সুষম আহার থেকেবঞ্চিত। যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
গোটা এশিয়ায় মোট ৪৩.৫% মানুষ সুষম খাদ্য পাচ্ছেন না। ফলে মহাদেশের নিরিখে দেখতে গেলেও ভারতের পরিসংখ্যান বেশ উদ্বেগজনক। যদিও সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থা নেপালে। সেখানে ৮৪% মানুষ স্বাস্থ্যকর খাবার পান না নিয়মিত। নেপালের পরে এই তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে পাকিস্তান (৮৩.৫%), আফ্রিকা (৮০%), বাংলাদেশ (৭৩.৫%)। তার পরেই স্থান ভারতের।
এফএও-র বিশ্লেষণ অনুযায়ী, প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খেয়ে শস্য, বাদাম, ফল, আনাজ এবং পরিমাণ মতো আমিষ গ্রহণ করাই সুষম আহার নেওয়া। এ ধরনের খাবার খেতে গেলে ভারতে চার জন সদস্যের এক পরিবারকে খাবারের পিছনে মাসে আনুমানিক ৭৬০০ টাকা খরচ করতে হয়। যা করতে দেশের প্রায় ৭১ শতাংশ মানুষই অপারগবলে প্রমাণিত।
সম্পূর্ণ ভাবে না হলেও অতিমারির কারণেই ভারতের পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে সুষম আহার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ এটাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, বর্তমানে দেশের কোটি কোটি মানুষ সরকারের দেওয়া রেশনের উপর নির্ভর করেন। তা ছাড়া অতিমারি শুরুর পর থেকে ‘প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা’র অন্তর্গত বিনামূল্যে পাঁচ কেজি খাদ্য শস্যের একটি বিশেষ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে উপভোক্তাদের। যার অধীনে পাঁচ কিলোগ্রাম চাল-ডালইত্যাদি মাত্র ২ থেকে ৩ টাকায় পাচ্ছেন তাঁরা। তবে সরকারের তরফে এই সাহায্য মানুষের পেট ভরালেও সুষম আহারের ঘাটতি পূরণ করতে পারছে না বলেই দাবি তাঁদের। ফলে প্রয়োজনীয় ক্যালরির জোগান মিললেও মেটানো যাচ্ছে না পুষ্টির প্রয়োজন, দাবি তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy