প্রতীকী ছবি।
যাওয়ার কথা ছিল ছত্তিশগড়। কিন্তু ভুল ট্রেনে উঠে পৌঁছে যায় দিল্লি। পড়ে যায় পাচারকারীদের নজরে। তারপরের তিন মাসে জীবনটাই বদলে গিয়েছিল ১৫ বছরের ওই কিশোরীর। নানা হাত ঘুরে একের পর এক ধর্ষণের শিকার হতে হয়। দিন কয়েক আগে ফাঁক বুঝে পালিয়ে আসতে পারে। ঘুরে বেড়াচ্ছিল দিল্লির হুমায়ুনের স্মৃতিসৌধের কাছে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করেছে মহিলা কমিশন। তার মুখ থেকেই টানা তিন মাসের ঘটনার বিবরণ শুনে চমকে যান কমিশনের সদস্যেরা।
ঘটনার সূত্রপাত গত বছরের অক্টোবরে। ছত্তিশগড়ে এক আত্মীয়ের বাড়ি যাবে বলে ট্রেনে উঠেছিল ১৫ বছরের ওই কিশোরী। ভুল করে দিল্লিগামী ট্রেনে উঠে পড়ে। দিল্লিতে যখন গিয়ে পৌঁছয় তখন বেশ রাত। অচেনা মুখের মাঝে ভীষণ অসহায় লাগছিল। ভয় লাগছিল। কী করবে বুঝে উঠতে পারছিল না। শেষে প্ল্যাটফর্মের এক জল বিক্রেতা তার দিকে এগিয়ে আসে। সব শুনে তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। বলেছিল পরের দিন সকালে ঠিক ট্রেনে তুলে দেবে। কিন্তু হয় ঠিক তার উল্টো। বাড়িতে নিয়ে গিয়েই তাঁর উপর নির্যাতন শুরু করে দেয় জল বিক্রেতা আরমান। সারা রাত তাঁকে ধর্ষণ করে। আর সকাল হতে ৭০ হাজার টাকায় পাপ্পু যাদব নামে একজনের কাছে বেচে দেয়। এই পুরো ঘটনায় নাকি আরমানকে সঙ্গ দিয়েছিল তার স্ত্রী হাসিনা।
ওই কিশোরী জানিয়েছে, এর পর পাপ্পু তাঁকে বিয়ে করবে বলে ফরিদাবাদে নিয়ে চলে যায়। পরের তিনটে মাস সেখানেই কাটে তার। রোজ তার উপর মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করত পাপ্পু। কয়েক দিন আগেই পাপ্পুর অনুপস্থিতিতে সুযোগ পেয়ে ঘর ছেড়ে পালিয়ে আসে মেয়েটি। ফরিদাবাদের হজরত নিজামুদ্দিন স্টেশনে পৌঁছে যায়। কিন্তু ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি। স্টেশনেই দেখা হয়ে যায় আরমানের স্ত্রী হাসিনার সঙ্গে। ওষুধ মেশানো পানীয় খাইয়ে অজ্ঞান করার পর তাঁকে স্টেশনের বাইরে মহম্মদ আফরোজ নামে আর এক যুবকের কাছে ফের তুলে দেয় হাসিনা। স্টেশনের কাছেই এক অন্ধকার জায়গায় তাঁকে ধর্ষণ করে আফরোজ। হুঁশ ফিরলে কোনওক্রমে আফরোজের নাগাল থেকে পালায় ওই কিশোরী।
আরও পড়ুন: প্রেমিকের হাতে খুন, ট্রাঙ্কে ‘মমি’ হয়ে রইল আকাঙ্ক্ষা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy