Advertisement
E-Paper

বেঙ্গালুরুতে আট মাসের শিশুর শরীরে এইচএমপি ভাইরাসের হদিস! নজর রাখছে স্বাস্থ্য দফতর

এইচমপি ভাইরাসের একটি প্রজাতি সম্প্রতি উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে চিনে। এ বার বেঙ্গালুরুতে আট মাসের এক শিশুর শরীরে পাওয়া গেল এইচএমপি ভাইরাস। তবে দু’টি ভাইরাস একই প্রজাতির কি না, তা স্পষ্ট নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:০৯
বেঙ্গালুরুতে শিশুর শরীরে এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণ।

বেঙ্গালুরুতে শিশুর শরীরে এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণ। — প্রতীকী চিত্র।

হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি)-এ আক্রান্ত বেঙ্গালুরুর এক শিশু। আট মাসের এক শিশুর শরীরে এই ভাইরাসের সংক্রমণের লক্ষণ মিলেছে। এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল ওই শিশুর। সেখানেই নমুনা পরীক্ষায় সংক্রমণের হদিস পাওয়া যায়। কর্নাটকের স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, নমুনাটি কোনও সরকারি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়নি। তবে স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্র সংবাদমাধ্যম ‘ইন্ডিয়া টুডে’কে জানিয়েছে, “এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এ কথা জানা গিয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালে হওয়া পরীক্ষাকে সন্দেহ করার কোনও কারণ আমাদের কাছে নেই।”

সংবাদমাধ্যম ‘নিউজ় ১৮’ জানিয়েছে, ভাইরাসের সংক্রমণের কথা নিশ্চিত করেছে সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। কর্নাটকের প্রশাসন এই সংক্রমণের বিষয়টি ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রককেও জানিয়েছে।

তবে চিনে যে এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে, এটিও সেই একই প্রজাতির কি না, তা এখনও স্পষ্ট। স্বাস্থ্য দফতরের এক সূত্র ‘ইন্ডিয়া টুডে’কে জানিয়েছে, “চিনে এই ভাইরাসের কোন প্রজাতির সংক্রমণ ছড়িয়েছে, সে বিষয়ে এখনও তথ্য পাওয়া যায়নি। ফলে এই ভাইরাসটি প্রজাতির বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।”

সম্প্রতি চিনে এইচএমপি ভাইরাসের সংক্রমণ ঘিরে উদ্বেগ দানা বাঁধতে শুরু করেছে ভারত-সহ বিশ্বের অন্য দেশগুলিতে। যদিও চিন জানিয়েছে, এটি একটি মরসুমি সংক্রমণ। এটিকে শুধুমাত্র ‘শীতকালীন সংক্রমণ’ বলেই ব্যাখ্যা করছে চিন। চিনের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারতও। তবে দেশবাসীকে অযথা উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। একই সঙ্গে এই ভাইরাসের বিষয়ে সময়ে সময়ে তথ্য দেওয়ার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-কেও অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে কেন্দ্র সম্প্রতি জানিয়েছে, এইচএমপিভির মতো ভাইরাসের অস্তিত্ব দেশে ইতিমধ্যেই রয়েছে। এখন স্বাস্থ্য পরিষেবার যা পরিকাঠামো, তাতে এই রোগের মোকাবিলা করায় কোনও সমস্যা নেই। তাই দেশবাসীকে শান্ত এবং সতর্ক থাকতে অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। পাশাপাশি, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার কথাও বলেছে তারা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রক সম্প্রতি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির পরিষেবা খতিয়ে দেখার জন্য ‘মক ড্রিল’ করা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, এ ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য সেগুলি তৈরি রয়েছে।

তবে কেরল সরকার ইতিমধ্যে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। সে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকে বয়স্ক এবং অন্তঃসত্ত্বাদের বাড়ির বাইরে কিংবা কোনও জনবহুল স্থানে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

HMPV Virus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy