E-Paper

নিজ্জর হত্যা: এ বার আঙুল মোদীর দিকে

কানাডার সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হল, সে দেশে খলিস্তানি জঙ্গিদের হত্যা করার ষড়যন্ত্রের কথা জানতেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। জাস্টিন ট্রুডো সরকারের সূত্রকে উদ্ধৃত করে এই দাবি করেছে সে দেশের একটি সংবাদমাধ্যম।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:৪৬
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দিকে আগেই সরাসরি আঙুল তুলেছিলেন কানাডা সরকারের মন্ত্রী। এ বার কানাডার সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হল, সে দেশে খলিস্তানি জঙ্গিদের হত্যা করার ষড়যন্ত্রের কথা জানতেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। জাস্টিন ট্রুডো সরকারের সূত্রকে উদ্ধৃত করে এই দাবি করেছে সে দেশের একটি সংবাদমাধ্যম। এই খবরের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে দিল্লি। তবে এই ষড়যন্ত্রে মোদীর সরাসরি যুক্ত থাকার প্রমাণ যে কানাডার গোয়েন্দাদের হাতে নেই তাও স্বীকার করেছে সংবাদমাধ্যমটি।

কানাডা সরকারের সূত্রকে উদ্ধৃত করে ওই সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, নিজ্জরকে হত্যার ছক কষেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে ছকের কথা জানানো হয়েছিল। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, ‘‘সাধারণত সংবাদমাধ্যমের খবর নিয়ে আমরা মন্তব্য করি না। কিন্তু কানাডা সরকারের সূত্র উদ্ধৃত করে যখন একটি সংবাদমাধ্যম এমন মন্তব্য করে তখন সেই ভিত্তিহীন মন্তব্যকে অবহেলার সঙ্গেই খারিজ করা উচিত।’’ বিদেশ মন্ত্রকের আরও বক্তব্য, ভারতের বদনাম করার এই ধরনের চেষ্টার ফলে কানাডার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আরও খারাপ হবে।

কানাডার সংবাদমাধ্যমটির দাবি, সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি মনে করে শাহ, জয়শঙ্কর এবং ডোভাল মোদীকে না জানিয়ে এমন অভিযানে নামবেন না। তবে মোদীর সরাসরি যুক্ত থাকার প্রমাণ কানাডার গোয়েন্দাদের হাতে নেই বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

খলিস্তানি জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের সঙ্গে কানাডার টানাপড়েন চলছিল। গত বছরে হরদীপ সিংহ নিজ্জর-সহ বেশ কয়েক জন খলিস্তানি জঙ্গি কানাডায় নিহত হয়। কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো দাবি করেন, এই ঘটনার সঙ্গে ভারত সরকারের যোগের নির্দিষ্ট তথ্য তাঁদের হাতে আছে। ভারতের পাল্টা দাবি, কানাডার ভোটে জিততে খলিস্তানপন্থীদের সমর্থন প্রয়োজন ট্রুডোর। তাই তিনি ভিত্তিহীন দাবি করে ভারতকে নিশানা করছেন। এর পরে অটোয়ায় নিযুক্ত তৎকালীন ভারতীয় হাইকমিশনার এই তদন্তের আওতায় রয়েছেন বলে দাবি করে ট্রুডো সরকার। তার জেরে হাইকমিশনারকে সরিয়ে নেয় দিল্লি। ভারত ছাড়তে হয় দিল্লিতে নিযুক্ত কানাডার শীর্ষ কূটনীতিককেও। তার পরে কানাডার পার্লামেন্টের কমিটিতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে সে দেশের উপবিদেশমন্ত্রী ডেভিড মরিসন জানান, খলিস্তানিদের হত্যার পিছনে অমিত শাহের হাত রয়েছে। সেই তথ্য আমেরিকার একটি সংবাদমাধ্যমকে জানানোর দায়ও স্বীকার করেন তিনি।

জবাবে ভারত জানায়, মরিসনের বক্তব্য ভুয়ো। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের ফল ভাল হবে না।

শাহ সম্পর্কে কানাডার বক্তব্য উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছে আমেরিকাও। সে দেশেও খলিস্তানি জঙ্গি গুরপতয়ন্ত সিংহ পন্নুনকে হত্যার চেষ্টায় ভারত সরকারের কর্মী বিকাশ যাদব জড়িত বলে অভিযোগ করেছে তারা। আমেরিকার দাবি, বিকাশ ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা র-এর কর্মী। দিল্লির পাল্টা দাবি, বিকাশ এখন আর ভারত সরকারের কর্মী। বরং এক ব্যবসায়ীকে অপহরণের মামলায় প্রাক্তন আধাসেনা বিকাশকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান। সংবাদ সংস্থা

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Narendra Modi Amit Shah Hardeep Singh Nijjar

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy