অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয় ভাণ্ডারীকে এ বার পলাতক ঘোষণা করল দিল্লির এক আদালত। তদন্তকারী সংস্থা ইডির আবেদন মেনেই তাঁকে আর্থিক অপরাধী আইনের অধীনে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনেকের ধারণা, এই নির্দেশে ব্রিটেন থেকে তাঁর প্রত্যপর্ণের বিষয়টি আরও শক্তপোক্ত হল! সঞ্জয়কে পলাতক ঘোষণা করায় চাপ বাড়তে পারে কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢরার। কারণ, রবার্টের সঙ্গে সঞ্জয়ের ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে কেন্দ্র এবং বিজেপির দাবি। শুধু তা-ই নয়, দিন কয়েক আগে অর্থ পাচার মামলায় রবার্টকে সমন পাঠিয়েছিল ইডি। সেই মামলাতেও সঞ্জয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক এবং আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে।
সঞ্জয়ের মাধ্যমে ব্রিটেনে বেনামি সম্পত্তি কেনা ও আয়কর ফাঁকির অভিযোগ নিয়ে ২০২০ সালে গান্ধী পরিবারের জামাই রবার্টের বিরুদ্ধে আয়কর বিভাগ তদন্ত শুরু করেছিল। যদিও রবার্ট সেই অভিযোগ বরাবর অস্বীকার করে আসছেন।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালেই সঞ্জয়কে ভারতে প্রত্যপর্ণের নির্দেশ দিয়েছিল ব্রিটেনের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েল্লা ব্রেভারম্যান। প্রতিরক্ষা দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের সঙ্গে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা বঢরা গান্ধীর স্বামী রবার্টের যোগাযোগ রয়েছে বলে বিজেপির দাবি। যদিও দুই বছর কেটে গেলেও এখনও বিতর্কিত সেই অস্ত্র ব্যবসায়ীকে ভারতে ফেরানো যায়নি।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, ইউপিএ সরকারের জমানায় বায়ুসেনার জন্য প্রশিক্ষণ বিমান (ট্রেনার জেট) কেনার চুক্তিতে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ২০১৯ সালে সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল সিবিআই। তাদের অভিযোগ, ২৮৯৫.৬০ কোটি টাকার ওই চুক্তির জন্য সুইৎজ়ারল্যান্ডের ‘পিলেটাস এয়ারক্রাফ্ট লিমিটেড’ বায়ুসেনা ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তৎকালীন কর্তাদের প্রায় ৩৩৯ কোটি টাকা ঘুষ দিয়েছিল। অস্ত্র ব্যবসায়ী সঞ্জয়ের সংস্থার মাধ্যমে ওই ঘুষ দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তদন্তকারীদের। পরে এই মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগ থাকায় ইডি এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। পলাতক ঘোষণার আবেদনও করে আদালতে। সেই আবেদন মঞ্জুর করল দিল্লির আদালত।