Advertisement
E-Paper

পাঁচ টাকার চা খেলেই আনলিমিটেড ইন্টারনেট ফ্রি!

এ যেন বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি অফার। পাঁচ টাকা খরচ করে চা খান আর পেয়ে যান ফ্রি ডেটা, একেবারে বিনামূল্যে! এমন অভিনব অফার কোথায় দিচ্ছে জানতে চান? ঠিকানাটা হল কর্নাটকের বালারি জেলার সিরুগুপ্পা এলাকার একটি চায়ের দোকান। ব্যবসা বাড়াতে এই অভিনব ফন্দি এঁটেছেন দোকানের মালিক সইদ খাদার বাশা।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ অক্টোবর ২০১৬ ১৬:৪৫

এ যেন বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি অফার। পাঁচ টাকা খরচ করে চা খান আর পেয়ে যান ফ্রি ডেটা, একেবারে বিনামূল্যে! এমন অভিনব অফার কোথায় দিচ্ছে জানতে চান? ঠিকানাটা হল কর্নাটকের বালারি জেলার সিরুগুপ্পা এলাকার একটি চায়ের দোকান। ব্যবসা বাড়াতে এই অভিনব ফন্দি এঁটেছেন দোকানের মালিক সইদ খাদার বাশা। এই দোকানে এসে পাঁচ টাকা দিয়ে এক কাপ চা খেলেই ৩০ মিনিটের জন্য আনলিমিটেড ডেটা ব্যবহার করতে পারবেন আপনি। আর এই মারকাটারি অফারের সুবাদে এখন ইয়ং জেনারেশনের কাছে তুমুল জনপ্রিয় কর্নাটকের প্রত্যন্ত এলাকার এই চায়ের দোকানটি।

বাশা জানাচ্ছেন, এই ‘ডেটা-চা’ এখন সবার পছন্দের। আগে প্রতি দিন মেরেকেটে হয়তো ১০০ কাপ চা বিক্রি হত। আর এখন তা এক লাফে বেড়ে গিয়েছে প্রায় চার গুণ। শুধু তাই নয়, এখন সকাল থেকে চা খাওয়ার জন্য তাঁর দোকানের সামনে লম্বা লাইনও পড়ে!

বাশার মতে, দেশের বড় বড় শহরে ফ্রি ওয়াইফাই জোন থাকাটা আজকাল খুবই সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু সিরুগুপ্পার মতো ছোট শহরে এই সুবিধা নেই। উপরন্তু মফঃস্বলে নেটের স্পিডও খুব কম। আবার যে ছাত্রছাত্রীরা মাসে খুব বেশি হলে ১০০ টাকা হাত খরচা পায় তাঁরা হয়তো প্রতি মাসে নেট রিচার্জ করতে পারে না। কিন্তু এখানে পাঁচ টাকা খরচ করে এক কাপ চায়ের সঙ্গে আধ ঘণ্টা ফ্রি ডেটা দেওয়া হয়। যার স্পিড থাকে মোটামুটি ১-২ এমবিপিএস। এতে বহু ছেলেমেয়ের উপকারও হয়।

কিন্তু প্রতিদিন প্রায় ১০০ জনকে ফ্রি ইন্টারনেট দিতে কী পন্থা নিয়েছেন বাশা? তিন হাজার টাকা দিয়ে একটি রাউটার কিনেছেন তিনি। ১,৭০০ টাকা দিয়ে প্রতি মাসে স্থানীয় কেবল অপারেটরের কাছ থেকে আনলিমিটেড ডেটা প্যাক রিচার্জ করান ২৩ বছরের এই স্মার্ট চা বিক্রেতা। যারা তাঁর দোকান থেকে চা কেনে তাঁদের ওয়াইফাইয়ের পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়। এই পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করে বিনামূল্যে ডেটা ব্যবহার করা যায়। তবে হ্যাঁ, প্রতি ক্রেতাকে এই সুবিধা দেওয়া হয় ৩০ মিনিটের জন্য। আধ ঘণ্টা পর স্বয়ংক্রিয় ভাবে লগ-আউট হয়ে যায় এই সংযোগ।

দারিদ্রের কারণে দশম শ্রেণীর পর আর পড়া হয়নি বাশার। সেই জন্য তাঁর এই অভিনব পদ্ধতিতে মূলত ছাত্রছাত্রীদের উপকার করতে চান সইদ খাদার বাশা।

আরও পড়ুন: বিহারের ‘মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলর’ তেজস্বী যাদব, পাণিপ্রার্থী ৪৪ হাজার

আরও পড়ুন: পুজো শেষ, এ বার রোগা হোন

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy