Advertisement
E-Paper

বদ্ধ সুড়ঙ্গে কী কী খেতে পারবেন শ্রমিকেরা? চিকিৎসকের নির্দেশে ‘মেনু’ তৈরি করছেন রাঁধুনিরা

৬ ইঞ্চির একটি পাইপলাইনের মাধ্যমে খিচুড়ি পাঠানো হয়েছিল সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের কাছে। মঙ্গলবার সকাল হতে না হতেই শুরু হয় প্রাতরাশের ব্যবস্থা।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৩ ১১:২১
চলছে খাবার তৈরির প্রস্তুতি।

চলছে খাবার তৈরির প্রস্তুতি। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।

উত্তরকাশীর ভেঙে পড়া সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের রান্না করা গরম খাবার পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। এ বার তাঁদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার বন্দোবস্ত করল উত্তরাখণ্ড সরকার। শ্রমিকদের নিয়মিত খাবার দেওয়ার জন্য তৈরি করা হয়েছে রাঁধুনিদের একটি দল। সেই দলে থাকছেন চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদও। তাঁদের পরামর্শ মেনে এবং সমস্ত নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেই শ্রমিকদের কখন, কী খাবার কখন পাঠানো হবে, তার বিশদ তালিকা প্রস্তুত করছেন রাঁধুনিরা।

সোমবার রাতেই প্লাস্টিকের বোতলে ভরে ৬ ইঞ্চির একটি পাইপলাইনের মাধ্যমে খিচুড়ি পাঠানো হয়েছিল সুড়ঙ্গে আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের কাছে। মঙ্গলবার সকাল হতে না হতেই শুরু হয় প্রাতরাশের ব্যবস্থা। উত্তরকাশীর ওই ভেঙে পড়া সুড়ঙ্গের কাছেই একটি ঘরে অস্থায়ী ভাবে তৈরি করা হয়েছে রান্নাঘর। সেখানেই সকালবেলায় রান্না হয়েছে আলু আর ছোলা দিয়ে ডাল। রাঁধুনিরা জানিয়েছেন, তাঁদের কাছে লুচি বা পুরি বানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ফলে ডালের পাশাপাশি লুচিও পৌঁছবে নল-পথে।

এ ছাড়া আপাতত শ্রমিকদের ডালিয়া পাঠানোর ছাড়পত্র মিলেছে। তবে তালিকার বাইরে কিছু পাঠানো যাবে না বলেই জানিয়েছেন রাঁধুনিরা। চিকিৎসকেরা আলোচনা করে আগামী দু-এক দিনের ওই তালিকা তৈরি করে দিয়েছেন। তাতে খিচুড়ি, ডালিয়া, পুরী, ডালের পাশাপাশি বাছাই ফল দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। আপাতত শ্রমিকদের আপেল এবং কলা দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। তবে স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে খাবার দেওয়ার পাশাপাশি বদ্ধ সুড়ঙ্গে শ্রমিকদের শৌচের কথাও ভাবতে হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই সুড়ঙ্গে ১০ দিন কাটিয়ে ফেলেছেন শ্রমিকেরা। এত দিন কোনও মতে শুকনো খাবার পাঠানো যাচ্ছিল তাঁদের কাছে। সোমবার সেই ভাঙা সুড়ঙ্গে ৬ ইঞ্চির একটি পাইপ গলানো সম্ভব হওয়ায় সুরাহা হয়েছে। প্রথমে শ্রমিকদের কাছে মোবাইল এবং চার্জার পাঠানো হয়েছিল। তার পরে বোতলে ভরে পাঠানো হয় খিচুড়িও। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন আপাতত সুড়ঙ্গে শ্রমিকেরা সুস্থ থাকলেও দ্রুত তাদের বার করে আনার ব্যবস্থা না করলে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। আপাতত ৯০০ মিলিমিটারের একটি নল প্রবেশ করিয়ে তা দিয়ে শ্রমিকদের বাইরে বার করে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সেই ব্যবস্থা কতটা সফল হবে তা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন অনেকেই।

Uttarkashi Tunnel Collapse Food Cook doctor
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy