ঘুষ দিয়ে স্ত্রীকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন যুবক। তবে তা পাওয়া মাত্রই ‘বেকার’ স্বামীকে ছেড়ে যান স্ত্রী! স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে ‘প্রতিশোধ’ নিতে গিয়েছিলেন মণীশ মীনা নামে ওই যুবক। তবে তা করতে গিয়ে তিনি আদতে রেলে নিয়োগ পরীক্ষার এক বড়সড় কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্য আনতে সাহায্য করেছেন বলে মনে করছেন রেল আধিকারিকেরা। রাজস্থানের কোটার এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে মণীশের স্ত্রী আশা এবং রেলের এক গার্ডকেও।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সম্প্রতি পুলিশের কাছে করা অভিযোগে মণীশ জানান, তিনি কোনও চাকরি না করলেও স্ত্রীকে একটা ‘ভাল’ সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সেই জন্যই আনুমানিক আট মাস আগে রেলের পরীক্ষার সময়ে এক ভুয়ো পরীক্ষার্থীর সাহায্য নেন তিনি। তার জন্য চাষের জমি বন্ধক রেখেছিলেন মণীশ। মণীশের থেকে ১৫ লক্ষ টাকা নিয়ে তার বিনিময়ে ওই ভুয়ো পরীক্ষার্থীর ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন রাজেন্দ্র নামে এক রেলকর্মী। তবে রেলে চাকরি পাওয়ার পর থেকেই স্বামীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতে থাকেন আশা। সম্প্রতি মণীশ ‘বেকার’, এমন কথা বলে তাঁকে ছেড়ে যান আশা। আর্থিক ভাবে ‘প্রতারিত’ হয়েছেন, এমন অভিযোগ জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন মণীশ।
পুলিশ মনে করছে, শুধু আশা নন। নিয়োগ পরীক্ষায় আরও অনেকেই এমন ভুয়ো প্রার্থী ব্যবহার করে রেলে চাকরি পেয়ে থাকতে পারেন। তদন্ত শুরু হয়েছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)