‘ইন্ডিয়া’য় একাধিক নেতা রয়েছেন। বিরোধী মঞ্চের লড়াইটা এঁদের মধ্যে বিশেষ কারও স্বার্থ বা অহং চরিতার্থ করার জন্য নয়। এই লড়াই দেশের ভবিষ্যতের জন্য। দিল্লির ভোটে আপ সরকারের পতনের পরে রাজধানীতে এসে এই মন্তব্য করলেন উদ্ধব ঠাকরের পুত্র আদিত্য ঠাকরে। গত রাতে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করার পরে আজ আপ আহ্বায়ক অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা আদিত্য। তবে শিবসেনা ভেঙে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি দখল করা একনাথ শিন্দেকে ‘ইন্ডিয়া’ মঞ্চের প্রবীণ নেতা শরদ পওয়ার সম্প্রতি যে ভাবে সংবর্ধনা দিয়েছেন, তার তীব্র প্রতিবাদও করেছেন বালসাহেব ঠাকরের পৌত্র।
এ দিন কেজরীওয়ালের সঙ্গে বৈঠকের পরে আদিত্য বলেন, “সরকার আসে-যায়। কিন্তু সম্পর্ক রয়েই যায়।” মহারাষ্ট্রের পরে দিল্লিতেও হারের পরে ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি-বিরোধী শিবির। আদিত্য বলেছেন, “ফলাফলের বিশ্লেষণ হবে। তবে যে ভোট বাদ দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে ভাবা জরুরি। এ ক্ষেত্রে একটি রণকৌশল তৈরি হওয়া দরকার। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চায় না।” সাংবাদিক বৈঠকে আদিত্য অভিযোগ তোলেন, প্রতিটি আঞ্চলিক দলকে ভাঙতে চাইছে বিজেপি। এই সূত্রে তিনি বলেন, “আমরা জানি না, বৈদ্যুতিন ভোটযন্ত্র এবং ভোটার-কারচুপির ফলে আমাদের ভোট কোথায় যাচ্ছে। দেশে কি এখন অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন হচ্ছে? আমরা ভাবছি আমরা গণতন্ত্রে বাস করছি, কিন্তু আসলে গণতন্ত্র আর নেই। আমাদের সঙ্গে, কেজরীওয়ালজি, কংগ্রেসের সঙ্গে যা হয়েছে, তা ভবিষ্যতে নীতীশজি, আরজেডি এবং চন্দ্রবাবু নায়ডুজির সঙ্গেও হতে পারে।” অর্থাৎ বিজেপি নিজের স্বার্থে জেডিইউ বা টিডিপি-র মতো শরিকদেরও রেয়াত করবে না বলে দাবি করে এনডিএ-র মধ্যে বিরোধ উস্কে দিতে চেয়েছেন আদিত্য। কেজরীওয়ালের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ শিবসেনা (ইউবিটি) নেতৃত্বকে ধন্যবাদ দিয়েছেন।
এরই মধ্যে গত মঙ্গলবার এক সাহিত্য উৎসবে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্দেকে সংবর্ধনা দিয়ে তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন এনসিপি (এসপি) প্রধান শরদ পওয়ার। তার জেরে অস্বস্তির সৃষ্টি হয়েছে রাজ্যের বিরোধী জোট মহা বিকাশ আঘাড়ী (এমভিএ)- অন্দরে। সূত্রের দাবি, উদ্ধব আগেই ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছিলেন, পওয়ার ওই অনুষ্ঠানটি এড়িয়ে গেলে ভাল করতেন। সংবাদ সংস্থা
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)