Advertisement
E-Paper

সিবিআই বিচারককে কটাক্ষ হাইকোর্টের

২৭৩ পাতার রায়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কাল একহাত নিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারককে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৫৭
—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজের মেয়ে আর বাড়ির পরিচারককে খুনের অভিযোগে চার বছর জেল খেটেছেন তাঁরা। কিন্তু ইলাহাবাদ হাইকোর্টের নির্দেশে গত কালই বেকসুর খালাস হয়েছেন আরুষি-হেমরাজ জোড়া খুনে দোষী সাব্যস্ত রাজেশ এবং নূপুর তলোয়ার। ২৭৩ পাতার রায়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ কাল একহাত নিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারককে।

বিচারপতিরা বলেছেন, ‘‘যে ভাবে সিবিআইয়ের বিচারক এস লাল তলোয়ার দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন, তা দেখে মনে হয়েছে, উনি কোনও ছবির পরিচালক।’’ একই সঙ্গে বিচারপতিদের অভিযোগ, তলোয়ার দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য রীতিমতো সাক্ষী সাজিয়েছিল সিবিআই। হাইকোর্টের বিচারপতি বি কে নারায়ণ এবং এ কে মিশ্রের বক্তব্য, কয়েকটি ঘটনা পরপর জুড়ে দিয়ে জোড়া খুনের মামলার সমাধান করে দিয়েছে সিবিআই। কিন্তু এই ধরনের মামলায় কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতে গেলে যতটা পরিমাণ তথ্য-প্রমাণ প্রয়োজন, সিবিআইয়ের হাতে কোনও দিনই তা ছিল না। হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানিয়েছে, এই ধরনের মামলা বিচার করতে দেশের শীর্ষ আদালত যে ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে, তারাও ঠিক সেটাই করেছে। ইলাহাবাদ হাইকোর্টের ব্যাখ্যা, মামলা যত জটিল হয়, সেই মামলায় কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতে গেলে তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ আরও ততটাই জোরালো হতে হয়। এ ক্ষেত্রে সিবিআইয়ের বিচারক এক জন অঙ্ক শিক্ষকের মতো কাজ করেছেন বলেও কটাক্ষ করেছে হাইকোর্ট।

এ দিকে, তলোয়ার দম্পতির আজ মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও এই সপ্তাহটা দাসনা জেলেই কাটাতে হবে তাঁদের। দাসনার জেল সুপার ডি মৌর্য্য জানাচ্ছেন, হাইকোর্টের রায়ের প্রতিলিপি এখনও তাঁদের হাতে পৌঁছয়নি। তাঁর বক্তব্য, আগামী কাল ও পরশু ছুটি। তাই তাঁর ধারণা, আগামী সোমবারের আগে ছাড়া পাবেন না চিকিৎসক দম্পতি। নিয়ম অনুযায়ী, আদালত কোনও আসামিকে বেকসুর খালাস করলে সাধারণত দু’টি পদ্ধতিতে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। প্রথমত, সরাসরি সেই রায়ের প্রতিলিপি জেল কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। অথবা যে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতের রায়ে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন, সেখানে মুক্তির রায়ের প্রতিলিপি পাঠানো হয়। তারা পরে বিষয়টি জেল কর্তৃপক্ষকে জানায়। দাসনার সুপার জানিয়েছেন, ইলাহাবাদ হাইকোর্ট সম্ভবত স্পিড পোস্টে মুক্তির নির্দেশের প্রতিলিপি পাঠিয়েছে। সোমবারের আগে তা দাসনায় পৌঁছনোর কথা নয়।

Rajesh Talwar Nupur Talwar Aarushi Murder Case CBI সিবিআই
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy