অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি পিটিআই।
কয়লা-কাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ভেস্তে দিতে চাইছেন’ বলে ইডি (এলফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) দিল্লি হাই কোর্টে অভিযোগ জানাল। ইডি-র দাবি, যে সব অফিসাররা কয়লা-কাণ্ডের তদন্ত করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই অভিষেক কলকাতা পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেছেন। ওই এফআইআর-এর ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশ ইডি-র অফিসারদের নোটিস পাঠিয়েছে। ইডি-র যুক্তি, ‘আর্থিক নয়ছয় প্রতিরোধ আইনে তদন্ত ভেস্তে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যেই ওই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।’
কয়লা-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই ইডি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক বার দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। প্রথম দিন টানা ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পরে ফের ২১ সেপ্টেম্বর তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। অভিষেক ওই দিন দিল্লিতে ইডি-র মুখোমুখি হবেন কি না, এখনও স্পষ্ট নয়। তবে ওই দিনই দিল্লি হাই কোর্টে ইডি-র মামলার শুনানি হবে।
ইডি দিল্লি হাই কোর্টে আর্জি জানিয়েছে, কলকাতার কালীঘাট থানা থেকে তাদের তদন্তকারী অফিসারদের যে নোটিস পাঠানো হয়েছে, তা নাকচ করে দেওয়া হোক। ওই নোটিসে কী অপরাধের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, তা বলা হয়নি। ফলে এই ধরনের নোটিস বেআইনি। ইডি-র অভিযোগ, তদন্তকারীদের উপরে চাপ তৈরি করতেই অভিষেক গত ৫ এপ্রিল একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাতে মানহানি, সম্মানহানির লক্ষ্যে নথি জাল করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল।
সেই অভিযোগের সূত্র ধরেই ইডি-র অফিসারদের থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ কোনও মামলায় অভিযুক্ত বা সাক্ষীদেরই ডেকে পাঠাতে পারে। অথচ এ ক্ষেত্রে ইডি-র অফিসারদের সঙ্গে অভিষেকের এফআইআরের কোনও সম্পর্কই নেই।
তৃণমূল শিবির সূত্রের দাবি, ইডি-র তদন্তকারী অফিসারদের নোটিস পাঠানোর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক নেই। এ ক্ষেত্রে যা করার কলকাতা পুলিশ করছে। কলকাতা পুলিশ প্রথমে ২২ জুলাই, তার পরে ২১ অগস্ট ইডি-কে নোটিস পাঠিয়েছিল। ইডি-র দাবি, ভবিষ্যতে কোনও নোটিস জারি করা হলে, তা-ও আগেভাগে নাকচ করে দেওয়া হোক। কারণ, এটা আইনের অপব্যবহার এবং তদন্ত ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা। কিন্তু ইডি নিজের আইনি ক্ষমতাবলেই কয়লা পাচারের অভিযোগের তদন্ত করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy