ধর্ষণের মামলায় নাম জড়িয়েছিল তাঁর। অন্যতম অভিযুক্তও তিনি। তবে মামলায় নাম জড়ানোর পর থেকেই পলাতক ছিলেন। দু’মাসের বেশি সময় পলাতক থাকার পর অবশেষে প্রকাশ্যে এলেন পঞ্জাবের আম আদমি পার্টির (আপ) বিধায়ক হরমিত সিংহ পাঠানমাজরা। ভিডিয়োবার্তায় জানান, তিনি অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন। জামিন পাওয়ার পরেই দেশে ফিরবেন!
পটিয়ালা পুলিশ আপ বিধায়কের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করেছে। তবে তাঁকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ২ সেপ্টেম্বর থেকেই পলাতক হরমিত। গত দু’মাস ধরে তাঁর নানা আস্তানায় খোঁজ করেও কোনও লাভ হয়নি। কোথায় তিনি বলতে পারেননি পরিবারের লোকেরাও! অবশেষে হরমিত নিজেই নিজের খোঁজ দিলেন।
অস্ট্রেলিয়া-ভিত্তিক এক পঞ্জাবি ওয়েব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় হরমিত দাবি করেন, ‘‘জামিন পাওয়ার পরেই দেশে ফিরবেন।’’ ধর্ষণ মামলায় তাঁর নাম জড়ানোর নেপথ্যে তিনি ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ দেখছেন। হরমিতের দাবি, পঞ্জাবের মানুষের হয়ে আওয়াজ তোলায় তাঁর কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।
সাক্ষাৎকারে হরমিত বলেন, ‘‘পঞ্জাবের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয় না। বাক্স্বাধীনতা খর্ব করা হচ্ছে। দিল্লিতে যে নেতারা হেরেছিলেন, তাঁরাই এখন পঞ্জাব দখল করেছেন। দিল্লির মতো এঁরা পঞ্জাবকেও ধ্বংস করছেন।’’ একই সঙ্গে তিনি জানান, বিচার ব্যবস্থার উপর তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন:
ধর্ষণ মামলায় হাজির না-হওয়ায় পটিয়ালার আদালত ইতিমধ্যেই হরমিতকে ‘অপরাধী’ ঘোষণার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে। এই মামলায় নাম জড়ানোর পর হরিয়ানার কারনালের ডাবরি গ্রামে তাঁর খোঁজে যায় পঞ্জাব পুলিশের একটি দল। পুলিশের কাছে খবর ছিল ওই গ্রামে হরমিতের এক আত্মীয়ের বাড়ি রয়েছে। আর সেখানেই আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু পুলিশ পৌঁছোতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। বিধায়কের সমর্থকদের বিরুদ্ধে গুলি এবং পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে।
হরমিত জানিয়েছেন, ওই গুলি চালানোর ঘটনার সঙ্গে তিনি কোনও ভাবেই যুক্তি নন। তাঁর অভিযোগ, ‘ভুয়ো সংঘর্ষ’-এ তাঁকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তাই তিনি অস্ট্রেলিয়া পালিয়েছেন। উল্লেখ্য, জিরাকপুরের এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়। মহিলার অভিযোগ, হরমিত মিথ্যা কথা বলে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। গত ১ সেপ্টেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়। তার পরই গা ঢাকা দেন হরমিত।