অ্যাসিডে আক্রান্ত ২৫ বছরের এক তরুণীর মুখের অবস্থা দেখে দোষীর সাজা বাড়িয়ে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। শুনানির সময়ে আদালতে উপস্থিত ওই তরুণীকে দেখে বিচারপতি সুনীতা গুপ্ত বলেন, ‘‘মেয়েটির মুখের দিকে তাকানো যায় না। নৃশংস আক্রমণে তাঁর এমন দশা হয়েছে যে, সে দৃশ্য আদালত পর্যন্ত সহ্য করতে পারছে না। ওঁর চোখ দু’টো সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তা হলে মেয়েটির কী অবস্থা হতে পারে সহজেই অনুমেয়।
এটা শুধু শারীরিক কষ্ট নয়, তীব্র মানসিক যন্ত্রণাও।’’ ওই তরুণী দক্ষিণ দিল্লির একটি বার-এ ডান্সার ছিলেন। ২০০৪ সালে সিমরান নামে আর এক ডান্সার এবং তার ভাই রাজু ঈর্ষাজনিত কারণে তরুণীর মুখে সালফিউরিক অ্যাসিড ছোড়ে। যার জেরে এই দুই অভিযুক্তের ৫ বছর সাজা হয়। সেই সাজার মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আক্রান্ত তরুণী। সেই সূত্রেই কোর্ট দোষীদের সাজা বাড়িয়ে দশ বছর করেছে। কোর্টের মতে, সব পরিস্থিতি, তথ্যপ্রমাণ খুঁটিয়ে দেখে পাঁচ বছরের সাজা যথেষ্ট নয় বলেই মনে হয়েছে। তাই তা বাড়িয়ে ১০ বছর করা হলো।
২০০৪ সালের ১৯ ডিসেম্বর ওই তরুণী বাড়ি থেকে বেরিয়ে অটোয় উঠেছিলেন বার-এ যাওয়ার জন্য। অটোর খুব কাছেই মুখে শাল চাপা দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল রাজু। দিদির নির্দেশে সে-ই অ্যাসিড ছোড়ে তরুণীর মুখে। তাঁর মুখ সঙ্গে সঙ্গে পুড়ে যায়। পরে চোখ দু’টিও নষ্ট হয়ে যায়। তার পর থেকে এক রকম গৃহবন্দি ওই তরুণী। বিকৃত মুখ নিয়ে বাইরে আসতে পারেন না। রাস্তায় একা হাঁটতে ভয় পান।
আজ শুধু সাজার মেয়াদ বাড়ানো নয়, তরুণী যাতে যথাযথ ক্ষতিপূরণ পান, সে বিষয়টিও একটি আইনি সংস্থাকে দেখার দায়িত্ব দিয়েছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy