মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরেই এ বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ বার সরকারি সূত্র জানাল, নানা আইনি জটিলতার কারণে পিছোতে পারে রানার দেশে ফেরা।
ট্রাম্পের সবুজ সঙ্কেতের পরেও কেন এই বিলম্ব? সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সর্বভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, সম্প্রতি মানবিক কারণ দেখিয়ে আমেরিকার সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করেছেন রানা। এই কারণেই কয়েক সপ্তাহ পিছিয়ে যেতে পারে রানার দেশে ফেরা। তবে এই দেরি হওয়ার নেপথ্যে মূল কারণ আইনি জটিলতাই। এর ফলে ভারত-আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর কোনও প্রভাব পড়বে না।
আরও পড়ুন:
রানা আদতে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক। বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলসের মেট্রোপলিটান ডিটেকশান সেন্টারে আটক রয়েছেন তিনি। পাক বংশোদ্ভূত আর এক সন্ত্রাসবাদী ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। হেডলির সঙ্গে মিলেই ২৬/১১-র মুম্বই হামলার বিষয়টি ছকেছিলেন রানা। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার সঙ্গেও যোগ ছিল তাঁর। মুম্বই হামলার অন্যতম এই চক্রীকে দীর্ঘ দিন ধরে এ দেশে ফেরানোর দাবি তুলেছে নয়াদিল্লি। শেষমেশ চলতি বছরের শুরুতে রানার প্রত্যর্পণে সায় দেয় আমেরিকার একটি আদালত। এর পর গত বৃহস্পতিবার রানাকে ভারতে প্রত্যর্পণের বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, “বিশ্বের অন্যতম শত্রু, যিনি ২০০৮ সালে মুম্বই হামলায় জড়িত, তাঁকে বিচারের সম্মুখীন হওয়ার জন্য ভারতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান মোদী। সেই মতো মহারাষ্ট্রের জেলে রানাকে রাখার তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। ইতিমধ্যে আইনি নথি এবং পরোয়ানা জারি করে আমেরিকাকে পাঠানোও হয়ে গিয়েছে। সেই আবহেই এ বার রানার ফেরা নিয়ে শুরু হল জল্পনা।