‘ট্রিপল এক্স’ অর্থাৎ ‘XXX’। এই নামেই হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ খুলেছিল পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা মুস্তাক আলি শেখ। এই গ্রুপের মাধ্যমেই প্রাপ্তবয়স্ক ভিডিয়ো, পর্নোগ্রাফিক ছবি সবার কাছে পাঠাতো সে। এই গ্রুপের ‘অ্যাডমিন’ ছিল মুস্তাকই। কর্মসূত্রে সে মুম্বইয়ের বাসিন্দা।
এই গ্রুপেই সে মুম্বইয়ের এক গৃহবধূকে কোনও কিছু না জানিয়েই ‘অ্যাড’ করে। এর পর থেকেই গ্রুপের বাকি সদস্যদের কাছে যখন মুস্তাক পর্নোগ্রাফিক ছবি ও ভিডিয়ো পাঠাতো, সেই সব ছবি চলে যেত ওই গৃহবধূর কাছেই। অস্বস্তিতে পড়ে ওই গৃহবধূ দেখেন, বাকি সদস্যদের কাউকেই তিনি চেনেন না, অথচ সবাই নির্দ্বিধায় তাঁর কাছে ক্রমাগত আপত্তিকর ছবি ও ভিডিয়ো পাঠিয়ে যাচ্ছে। এক রাশ বিরক্তি নিয়ে পুরো বিষয়টি মুম্বই পুলিশকে জানান ওই গৃহবধূ। তার পরই মুম্বইয়ের ধারাভি এলাকা থেকে মুস্তাককে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ।
মুস্তাকের বিরুদ্ধে হেনস্থা এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে, এই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সদস্য মোট বারো জন। নিষিদ্ধ এবং প্রাপ্তবয়স্ক ছবি ও ভিডিয়োই শেয়ার করা হতো এই গ্রুপে।
আরও পড়ুন: ‘গোত্র দত্তাত্রেয়, রাহুল গাঁধী আসলে কাশ্মীরী ব্রাহ্মণ’, দাবি পুষ্কর মন্দিরের পুরোহিতের
পুলিশি জেরার মুখে মুস্তাক জানিয়েছে, সেই ইচ্ছে করে এই কাজ করেনি। নিজের শ্যালককে দলে নিতে গিয়েই সে ভুল করে ওই মহিলার নম্বর গ্রুপে অ্যাড করে ফেলেছে। তার দাবির সত্যতা যাচাই করে দেখছে মুম্বই পুলিশ। তার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে সমস্ত কল রেকর্ড।
আরও পড়ুন: মর্যাদার লড়াই মহাকোশল জুড়ে, ‘পদ্মবনে’ বসে দুশ্চিন্তায় ছিন্দওয়াড়ার অধীশ্বর
এই ধরনের গ্রেফতারির ঘটনার নজির খুব একটা নেই। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিভিন্ন মেসেজ পাঠানোর আগে যে আরও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন, তাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই গ্রেফতারি।
(রাজনীতি, অর্থনীতি, ক্রাইম - দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy