দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে আরও দু’জনকে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানি থেকে পাকড়াও করা হয়েছে তাঁদের। ধৃতদের নাম মহম্মদ আসিফ এবং নজ়র কামাল। এনআইএ সূত্রের খবর, আসিফ একটি মসজিদের ইমাম এবং কামাল পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া গাড়ির চালক চিকিৎসক উমর নবির মোবাইলের সূত্র ধরেই এই দুই অভিযুক্তের খোঁজ পান তদন্তকারীরা।
গত ১০ নভেম্বর দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জন নিহত হন। ওই গাড়ির চালক ছিলেন উমর। তাঁর কাশ্মীরের বাড়ি থেকে আগেই একটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। বিস্ফোরণের কিছু দিন আগে কাশ্মীরের বাড়িতে গিয়ে ওই মোবাইলটি রেখে আসেন উমর। পরে সেই মোবাইলটি হাতে পান তদন্তকারীরা। এ বার জানা যাচ্ছে, উমরের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মোবাইলের সূত্র ধরেই উত্তরাখণ্ডে অভিযান চালান তদন্তকারীরা। যদিও কাশ্মীরে ফেলে আসা মোবাইল থেকেই এই তথ্য মিলেছে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ওই মোবাইলের কল ডিটেল থেকে হলদওয়ানি এলাকায় সন্দেহজনক কিছু তথ্য তদন্তকারীদের হাতে আসে। সেই সূত্র ধরেই শুক্রবার রাতে দিল্লি পুলিশ এবং উত্তরাখণ্ডের স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় হলদওয়ানিতে হানা দেন এনআইএ আধিকারিকেরা। ওই অভিযানেই গ্রেফতার করা হয় আসিফ এবং কামালকে। শনিবার তাঁদের দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, আসিফের সহযোগী হিসাবে কাজ করতেন কামাল। তাঁদের গ্রেফতারির পরে ওই এলাকার নিরাপত্তা আরও বৃদ্ধি করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন:
দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনাকে ইতিমধ্যে একটি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন তদন্তকারীরা। ওই তদন্তে উঠে এসেছে ফরিদাবাদ মডিউলের যোগসূত্র। বিস্ফোরণের ঠিক আগেই ফরিদাবাদ থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। এই দুই ঘটনাই পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। ফরিদাবাদকাণ্ডে যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই চিকিৎসক। বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া গাড়ির চালক উমরও পেশায় চিকিৎসক।