রুম নম্বর ২২। ফরিদাবাদের আল ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘর থেকেই এ বার উদ্ধার হল নগদ ১৮ লক্ষ টাকা। ঘটনাচক্রে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘরটি বরাদ্দ করা হয়েছিল দিল্লি বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত তথা ‘ডক্টর টেরর মডিউল’-এর অন্যতম সদস্য চিকিৎসক শাহীন সইদের নামে। এই ঘরেই থাকতেন তিনি। বৃহস্পতিবার শাহীনকে নিয়ে তদন্তকারীরা আল ফালাহ্তে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন ঘরে তিনি থাকতেন, তাঁর অফিস এবং যে সব ঘরে ক্লাস নিতেন, সব ঘুরে দেখেন জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ) আধিকারিকেরা।
সূত্রের খবর, ২২ নম্বর ঘরে তল্লাশি চালানোর সময় একটি ক্যাবিনেটের ভিতরে প্লাস্টিকে মোড়ানো নগদ ১৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। সেটি উদ্ধারের পর তদন্তকারীরা খুঁজে বার করতে চাইছেন, এই বিপুল টাকার উৎস কী। প্রসঙ্গত, দিল্লি বিস্ফোরণের সঙ্গে আল ফালাহে্র নাম জড়িয়ে যাওয়ার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি ঘর ছিল তদন্তকারীদের নজরে। তার মধ্যে ছিল ৪, ১৩ নম্বর ঘর। তবে ২২ নম্বর ঘরের হদিস মিলেছে শাহীনকে জেরার পর। ৪ এবং ১৩ নম্বর ঘরে থাকতেন অভিযুক্ত চিকিৎসক উমর উন নবি। ১৩ নম্বর ঘরে থাকতেন আর এক অভিযুক্ত চিকিৎসক মুজ়াম্মিল গনাই। এই দু’জনের ঘর থেকে বেশ কয়েকটি ডায়েরি এবং নোটবুক উদ্ধার হয়। সেই নোটবুকে বেশ কিছু সাঙ্কেতিক শব্দ, হামলার পরিকল্পনা-সহ নানা তথ্য উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন:
তদন্তকারী এক সূত্রের খবর, ২২ নম্বর রুমে থাকতেন চিকিৎসক শাহীন। তদন্তকারীদের ধারণা, এই চিকিৎসকই জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি সংগঠনের মহিলা শাখার দায়িত্বে ছিলেন। চিকিৎসক শাহীনের জন্য আল ফালাহ্তে যে ঘর বরাদ্দ ছিল, তদন্তে সেই ঘরের হদিস মেলে। শুধু তা-ই নয়, নগদ টাকাও উদ্ধার হয়। ঘটনাচক্রে, তদন্তকারীরা জানতে পেরেছিলেন যে, দিল্লিতে বিস্ফোরণের জন্য ২৬ লক্ষ টাকা জোগাড় করা হয়েছিল। শাহীনের ঘর থেকে যে ১৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে, সেটি ওই ২৬ লক্ষের অংশ কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।