শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল থেকে পথকুকুরদের সরানো নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, তার বিরুদ্ধে শনিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিঠি লেখেন অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। সেই চিঠি তাঁরা পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের ঠিকানায়। নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছেন পশুপ্রেমীরা। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই কর্মসূচির আয়োজন করে। তারা জানিয়েছে, শুধু দিল্লি থেকেই সুপ্রিম কোর্টকে চিঠি লিখেছেন ১০ হাজার জন।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, গোটা দেশেই এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। পশুপ্রেমীদের কাছের ডাকঘরে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টে চিঠি পাঠাতে বলা হয়। পথকুকুরদের নিয়ে ৭ নভেম্বর যে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট, তা পুনর্বিবেচনা বা স্থগিত করার আর্জি জানাতে বলা হয় চিঠিতে। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, ইম্ফল, বডোদরা, চেন্নাই-সহ দেশের প্রায় সব শহর থেকে পশুপ্রেমীরা চিঠি দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। আয়োজক তথা পশুপ্রেমী কুণাল জানিয়েছে, ১০ হাজার চিঠি ইতিমধ্যে জমা পড়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
গত ৭ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ দেয়, স্কুল, রেলস্টেশন, হাসপাতাল চত্বর থেকে পথকুকুরদের সরাতেই হবে। বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সন্দীপ মেহতা, বিচারপতি এনভি আঞ্জারিয়ার বেঞ্চের নির্দেশ, নির্বীজকরণের জন্য পথকুকুরদের যে সব এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সেখানে আর তাদের ফেরানো চলবে না। আদালতের নির্দেশে নির্বীজকরণের পর পথকুকুরদের ঠাঁই হবে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রেই।
আরও পড়ুন:
-
সারা দেশে বিলি হয়েছে ৫০ কোটির বেশি এনুমারেশন ফর্ম! পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যাটা কত? বাকি রাজ্যেই বা কী অবস্থা
-
‘পাকিস্তানের গ্যাংস্টার খুন করে দেবে’! সুরক্ষা চান আনমোল বিষ্ণোই, এনআইএ সদর দফতরে এজলাস বসালেন বিচারক
-
স্কুল, রেলস্টেশন, হাসপাতাল চত্বর থেকে পথকুকুরদের সরাতেই হবে, রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত
সুপ্রিম কোর্ট জানায়, কোন কোন জায়গায় পথকুকুর থাকবে না, তা চিহ্নিত করবে স্থানীয় প্রশাসন। দু’সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, খেলার মাঠ কিংবা কোনও সরকারি ভবনে যাতে পথকুকুর ঢুকতে না-পারে, তার জন্য বেড়া দেওয়ার বিষয়টি সুনিশ্চিত করবেন জেলাশাসকেরা। আট সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। শীর্ষ আদালতের তরফে এ-ও জানানো হয়েছে, ওই সমস্ত জায়গায় পথকুকুর ঢুকছে কি না, স্থানীয় প্রশাসনকে সেই বিষয়ে নজরদারি চালাতে হবে। তার পর রিপোর্ট জমা দিতে হবে কোর্টকে। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টকে চিঠি দিলেন পশুপ্রেমীরা।