ক্যাচ বাতিল করা নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্ক করলেন পাকিস্তানের ফখর জ়মান। শ্রীলঙ্কার দাসুন শনাকার ক্যাচ ফখর ধরলেও তৃতীয় আম্পায়ার তা বাতিল করে দেন। এর পর মাঠের আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্ক জোড়েন ফখর। ক্যাচ বাতিল করলেও পাকিস্তানের অসুবিধা হয়নি। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ় জিতেছে তারা।
ঘটনাটি ঘটে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের ৪৯তম ওভারে। শাহিন আফ্রিদির মন্থর গতির বল ফ্লিক করেছিলেন শনাকা। বল থার্ড ম্যানের দিকে উঠে যায়। ফখর দাঁড়িয়েছিলেন বৃত্তের মধ্যেই। তিনি বল লক্ষ্য করে পিছন দিকে দৌড়তে থাকেন। ঝাঁপিয়ে ক্যাচও ধরে ফেলেন। এমনিতে ক্যাচ দেখে অন্য কিছু মনে হয়নি। মাঠের দুই আম্পায়ার আহসান রাজ়া এবং আসিফ ইয়াকুব আউট দিয়ে দেন। তার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার দেন তৃতীয় আম্পায়ারের উপরে।
রিপ্লে-তে প্রথমে দেখা যায়, ফখরের কব্জি মাটি স্পর্শ করলেও তা স্পষ্ট ভাবেই তালুবন্দি করেছেন ফখর। পরে অন্য একটি কোণ থেকে দেখা যায়, ক্যাচটি ধরে মাটিতে পড়ার সময় বল মাটি স্পর্শ করেছে। এর পরেই তৃতীয় আম্পায়ার রশিদ রিয়াজ় আউটের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে যান ফখর। তিনি মাঠের আম্পায়ারদের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। খেলাও কিছু ক্ষণ বন্ধ থাকে।
পাকিস্তানের বাকি ক্রিকেটারেরা ফখরকে সরিয়ে নিয়ে যান। পরের বলেই শাহিন আউট করে দেন শনাকাকে। উচ্ছ্বাসের সময় তৃতীয় আম্পায়ারের দিকে আঙুল দিয়ে কিছু একটা ইঙ্গিতও করেন শাহিন। স্টাম্প মাইকে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মুখে অশ্লীল ভাষাও শোনা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
শনিবার রাওয়ালপিন্ডিতে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯.১ ওভারে ১১৪ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। কামিল মিশারা (৫৯) বাদে কেউ রান পাননি। মাত্র তিন জন দু’অঙ্কের রান করেছেন। শাহিন এবং মহম্মদ নওয়াজ় তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। জবাবে চার উইকেট হারিয়ে জয়ের রান তুলে নেয় পাকিস্তান। সর্বোচ্চ বাবর আজমের (অপরাজিত ৩৭)। সাইম আয়ুব ৩৩ বলে ৩৬ রান করেন।