Advertisement
E-Paper

২০ ঘণ্টা ট্রেনে তন্নতন্ন করে খোঁজ, ১১০০ কিমি যাত্রার পরে ১৭ বছর ধরে পালানো অভিযুক্তকে ধরল পুলিশ

পুলিশ জানাচ্ছে, বছরের পর বছর নাম-পরিচয় গোপন করে নানা জায়গায় বেড়িয়েছেন আলম। কখনও বিহার, কখনও দিল্লি তো কখনও মহারাষ্ট্রে পালিয়েছেন বার বার পাল্টে ফেলেছেন ফোনের সিম কার্ড। এ বার গুজরাতে পালানোর চেষ্টায় ছিলেন অভিযুক্ত।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২৫ ১৭:৪৩
চলন্ত ট্রেন থেকে গ্রেফতার খুন ও ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত।

চলন্ত ট্রেন থেকে গ্রেফতার খুন ও ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম। গ্রাফিক সহায়তা: এআই।

ধর্ষণ ও খুনের মামলা চলছে তাঁর বিরুদ্ধে। সঙ্গীরা সকলে দোষী সাব্যস্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ১৭ বছর ধরে তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। কিছুতেই নাগাল পাচ্ছিল না পুলিশ। অবশেষে চলন্ত ট্রেন থেকে ধরা পড়লেন অভিযুক্ত। অপরাধের মামলায় ১৭ বছর পলাতক থাকার পরে গ্রেফতার হলেন অভিযুক্ত। ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে শনিবার।

দিল্লির বাসিন্দা মহম্মদ আলমের বয়স এখন ৪৩ বছর। ২০০৮ সালে তাঁর নাম জড়ায় বিহারে একটি খুনের ঘটনায়। তাঁর সঙ্গে আরও চার জন জড়িত ছিলেন ওই মামলায়। বাকিদের খোঁজ পাওয়া গেলেও আলম পালিয়ে যান। বছর তিনেক পরে আলমের মেয়ে দিল্লি পুলিশের কাছে বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তাঁর দাবি, বাবা তাঁকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন। কিন্তু দিল্লির লক্ষ্মীনগর থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই আবার পালান আলম। এর মধ্যে দিল্লির নিম্ন আদালতে মামলা চলছিল। কিন্তু আলমকে কোথাও পাওয়া যায়নি। তবে হাল ছাড়েনি পুলিশও।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত ৬ মে মধ্যপ্রদেশ থেকে যাত্রা শুরু করা শ্রমিক এক্সপ্রেসে হানা দেয় দিল্লি পুলিশের একটি দল। টানা ৩ ঘণ্টার সেই অভিযানের পর অভিযুক্ত যখন ধরা পড়েন, তখন ট্রেনটি মহারাষ্ট্রে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন অভিযুক্ত।

ওই অভিযান নিয়ে দিল্লি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘একের পর এক বগিতে হানা দিই আমরা। শেষমেশ জলগাঁও জংশনের কাছে অভিযুক্তকে পাকড়াও করি আমরা। ২০ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়েছি আমরা। ১১০০ কিলোমিটার পেরিয়ে গিয়েছি ট্রেনে। কিন্তু হাল ছাড়েনি আমাদের সহকর্মীরা। ওঁকে ধরেই ছেড়েছি আমরা।’’

পুলিশ জানাচ্ছে, বছরের পর বছর নাম-পরিচয় গোপন করে নানা জায়গায় পালিয়ে বেড়িয়েছেন আলম। কখনও বিহার, কখনও দিল্লি তো কখনও মহারাষ্ট্রে পালিয়েছেন, বার বার পাল্টে ফেলেছেন ফোনের সিম কার্ড। এ বার গুজরাতে পালানোর চেষ্টায় ছিলেন অভিযুক্ত। বিহার পুলিশের কাছে খবর দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রের আদালত থেকে রিমান্ডে প্রথমে দিল্লি, তার পর বিহারে নিয়ে যাওয়া হবে আলমকে।

Crime Rape and Murder Delhi Police Accused
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy