পরপর চার বার বাতিল হওয়ার পরে আজ বসল রাজ্যসভার বিষয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের পদত্যাগের ঘোষণার পরে ঝড় বয়ে গিয়েছে নয়াদিল্লির রাজনৈতিক শিবিরে। বারবার সময় স্থির করেও এই বৈঠক পিছিয়েছে সরকার। আজ ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশের নেতৃত্বে হওয়া এই বৈঠকে সরকারকে ঝাঁঝালো ভাবে আক্রমণ করল তৃণমূল।
সূত্রের খবর, সরাসরি ধনখড় বিতর্ক নিয়ে অবশ্যই মুখ খোলেননি বৈঠকে উপস্থিত কংগ্রেসের জয়রাম রমেশ, তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন, ডিএমকে-র তিরুচি শিবা এবং আপ-এর সঞ্জয় সিংহ। তবে উপস্থিত দুই মন্ত্রী জে পি নড্ডা এবং কিরেন রিজিজুর উপরে চাপ তৈরি করে, অধিবেশনের বাকি সময়ে বিরোধীদের বেছে দেওয়া বিষয় নিয়ে সপ্তাহে অন্তত এক বা দু’দিন স্বল্পমেয়াদি আলোচনা করার দাবি তুলেছেন তাঁরা। পাশাপাশি তৃণমূল অভিযোগ তোলে, সরকারই আসলে সংসদ ভন্ডুল করছে। সংসদে আলোচনা পিছিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ব্রিটেন সফরে চলে যাচ্ছেন।
বৈঠকের পরে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “যথারীতি সরকার সংসদ বানচাল করে চলেছে। তারা ভোটার তালিকার বিশেষ পরিমার্জন অথবা বাংলা ভাষাভাষীদের হেনস্থার মতো বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। বিরোধীরা অন্য যে বিষয় তুলছেন, সেগুলিকেও অগ্রাহ্য করছে।”
সূত্রের খবর, পরপর চার বার বৈঠকের তারিখ পিছোনোর বিষয়টিকে সামনে এনে বিরোধী পক্ষের এক সাংসদ বলেন, “প্রথম বার বৈঠক পিছোনোর বিষয়টি নিয়ে কেউ কিছু ভাবিনি। দ্বিতীয় বার একটু বিরক্ত লেগেছে। তৃতীয় বার রীতিমতো চিন্তার। আর চতুর্থ বার তো অভূতপূর্ব!”
রাজনৈতিক গুঞ্জন, নড্ডা এবং রিজিজুর কাছে আগেই খবর চলে এসেছিল যে ধনখড়কে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই তাঁরা সোমবার বিকেলে (যার কয়েক ঘণ্টা পরই পদত্যাগপত্র দেন ধনখড়) নির্ধারিত বিষয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে যোগ না দিয়ে বৈঠক ভেস্তে দিয়েছিলেন। তার পরে ধনখড়-ধাক্কা সামলাতে আরও এক দিন লেগেছে।
সূত্রের খবর, বৈঠকে ডেরেক দাবি করেন, আগামী কাল থেকেই ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে আলোচনা শুরু করা হোক। জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী ব্রিটেন-মলদ্বীপ সফরে থাকবেন। তৃণমূল নেতার বক্তব্য, সংসদে যখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা, তখন প্রধানমন্ত্রী ব্রিটেন গিয়ে বসে থাকছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)