Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Port

সাব্রুম স্থলবন্দর খুললেই হাতের নাগালে চট্টগ্রাম

রামগড় স্থলবন্দরকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে জুড়তে ৮টি সেতু ও ৮টি কালভার্ট তৈরি হয়েছে।

রামগড় স্থলবন্দর।

রামগড় স্থলবন্দর। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আগরতলা শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:৫৪
Share: Save:

ত্রিপুরায় সীমান্তের ও-পারে বাংলাদেশের খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দরে আন্তর্জাতিক যাত্রী টার্মিনালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সেটির উদ্বোধন করেছেন। এ-পারে রয়েছে ত্রিপুরার সাব্রুম স্থলবন্দর। সেটি এখনও চালু হয়নি। ফলে এখনই এখান দিয়ে যাত্রী ও পণ্য পারাপার শুরু হচ্ছে না বলে এক শুল্ক আধিকারিক জানিয়েছেন।

এখান থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব সত্তর কিলোমিটারের কাছাকাছি। ফলে স্থলবন্দরগুলি পুরোদস্তুর চালু হলে চট্টগ্রামে জাহাজে আসা নানা পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সহজে আমদানি ও একই ভাবে রফতানি করা যাবে। কমবে খরচও। বাংলাদেশের ১৫তম এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথম স্থলবন্দর হল রামগড়। এই স্থলবন্দর ব্যবহার করতে ত্রিপুরা দক্ষিণ জেলার সাব্রুম মহকুমার নবীনপাড়ায় ফেনি নদীর উপরে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নামে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।

রামগড় স্থলবন্দরকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাথে জুড়তে ৮টি সেতু ও ৮টি কালভার্ট তৈরি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে খাগড়াছড়ি চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি কংজরী চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সহজে ভারত থেকে প্রাণিসম্পদ, ফল, কাঠ, বীজ, গম, পাথর, কয়লা, সার ইত্যাদি আমদানি করতে পারবে। এই স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি করার ফলে স্থানীয় মানুষদের জীবনযাত্রাও উন্নত হবে। ত্রিপুরা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি তুষার চক্রবর্তী জানান, এ বার সহজেই চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করা যাবে। ফলে ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে পণ্য আমদানি-রফতানিতে সময় আর অর্থ কম লাগবে। বাণিজ্যের নতুন দুয়ার খুলবে। এর জন্য সাব্রুম স্থলবন্দর দ্রুত চালু করার বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের নজরে আনার জন্য রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপের অনুরোধ করেছেন তুষার চক্রবর্তী।

রামগড় স্থলবন্দরের ইনচার্জ আফতাব উদ্দিন জানিয়েছেন, সেখানে অভিবাসন, শুল্ক বিভাগ, ব্যাঙ্ক, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও বিজিবি-র পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। তবে সাব্রুম স্থলবন্দর এখনও পুরোপরি ভাবে তৈরি হয়নি বলে শুল্ক দফতরের এক আধিকারিক জানান। শুল্ক ও অভিবাসন বিভাগের অফিসারদের জন্য অস্থায়ী অফিস তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাকি কাজে গতি আনার জন্য সরকারি ভাবে কোনও নির্দেশ আসেনি বলে জানান ওই শুল্ক আধিকারিক। ফলে কবে থেকে সাব্রুম স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার শুরু হবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bangladesh Tripura
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE