(বাঁ দিকে) মমতা মহন্ত এবং সুজিত কুমার (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভা সাংসদের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই শুক্রবার সকালে তড়িঘড়ি তাঁকে দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ বহিষ্কার করেছিল বিজেডি। বেলা গড়াতেই ওড়িশার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের একদা ঘনিষ্ঠ নেতা সুজিত কুমার যোগ দিলেন বিজেপিতে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিংহ, দলের ওড়িশার দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক বিজয়পাল সিংহ তোমর, সাংসদ তথা প্রাক্তন বিজেডি নেতা ভর্তৃহরি মহতাব এবং বিজেপির প্রধান মুখপাত্র অনিল বালুনির উপস্থিতিতে দিল্লিতে পদ্মশিবিরে শামিল হয়ে সুজিত বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে ‘উন্নত দেশ’ এবং ২০৩৬ সালের মধ্যে ওড়িশাকে ‘উন্নত রাজ্যে’ পরিণত করার যে কর্মসূচি নিয়েছেন, আমি তাতে শামিল হতে চাই।’’
প্রসঙ্গত, ময়ূরভঞ্জ এলাকার প্রভাবশালী নেত্রী মমতা মহন্ত রাজ্যসভার সাংসদ পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেডি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। লোকসভা ভোটের পর নবীন তাঁর দলের রাজ্যসভা সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করে অধিবেশনে ‘বিজেপি বিরোধী ভূমিকা পালনের নির্দেশ’ দিয়েছিলেন। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গে কক্ষ সমন্বয়ের বার্তাও দেওয়া হয়েছিল বিজেডির তরফে। তার পরে দল ছেড়ে বিজেপিতে গেলেন দু’জন সাংসদ।
সাম্প্রতিক ভোটে ওড়িশায় ২১টি আসনের একটিও জিততে পারেনি নবীনের দল। বিধানসভার ভোটেও পরাজিত হয়ে রাজ্যের শাসন ক্ষমতা হারিয়েছে। অন্য দিকে, ওড়িশায় জোড়া ভোটে এ বার চমকপ্রদ জয় পেয়েছে বিজেপি। সে রাজ্যের ২১টি লোকসভা আসনের মধ্যে ২০টি তাদের ঝুলিতে। অবশিষ্ট আসনটিতে কংগ্রেস জিতেছে। পাশাপাশি, ১৪৭ আসনের ওড়িশা বিধানসভায় ৭৮টিতে জিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে পদ্ম। বিজেডির ৫১ এবং কংগ্রেস ১৪ জন বিধায়ক রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy