কেরলের তিন জায়গায় হানা গোয়েন্দাদের। —ফাইল চিত্র।
আইএস জঙ্গি সন্দেহে কেরলে তিন সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদ জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র। রবিবার কাসারাগড় এবং পালাক্কড় জেলায় আবু বকর সিদ্দিকি এবং আহমেদ আরাফত নামের দুই ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেন গোয়েন্দারা। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তৃতীয় এক ব্যক্তিকেও। কিন্তু তার নাম ও পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। তাদের নোটিস ধরানো হয়েছে। কোচিতে গোয়েন্দা সংস্থার দফতরে সোমবার ডেকে পাঠানো হয়েছে তাদের। সেখানে আরও এক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। গত ২১ এপ্রিল, ইস্টারের সকালে শ্রীলঙ্কায় ঘটে যাওয়া ধারাবাহিক বিস্ফোরণে তাদের কোনও যোগ রয়েছে কিনা, খতিয়ে দেখা হবে তাও।
কাসারাগড় ষড়যন্ত্র মামলায় গতবছর কেরল থেকে ২৫ বছরের হাবিব রহমানকে গ্রেফতার করে এনআইএ। কেরল থেকে পালিয়ে পশ্চিম এশিয়ায় আইএস-এ যোগদানকারী কিছু যুবকের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ। কেরল থেকে আরও অনেকেই আইএস-এ যোগদান করেছে বলে সেই সময় তদন্তে উঠে আসে। এ দিন যে তিন জনকে জেরা করা হয়েছে, তাদের সঙ্গেও আইএস-এ যোগ দেওয়া জঙ্গিদের যোগাযোগ রয়েছে বলে সন্দেহ। এনআইএ-র তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ওই তিন সন্দেহভাজনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একাধিক মোবাইল ফোন, সিম কার্ড, মেমরি চিপ, পেন ড্রাইভ উদ্ধার হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে আরবি এবং মলয়ালম ভাষায় লেখা কিছু নোটও। এ ছাড়াও মিলেছে ধর্মীয় বক্তৃতার বেশ কিছু ডিভিডি এবং বিতর্কিত ইসলামি নেতা জাকির নায়েকের লেখা কিছু বই।
আইএস-এ যোগ দিতে গত কয়েক বছরে কেরল থেকে বেশ কিছু যুবক-যুবতী সিরিয়া এবং ইরাক রওনা দিয়েছে। ২০১৬-র মে মাসে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মোট ২১ জন সিরিয়া গিয়ে আইএসে যোগ দেয় বলে দাবি গোয়েন্দাদের। ২০১৬-র ডিসেম্বর থেকে ২০১৭-র জানুয়ারির মধ্যে উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে আরও একদল কেরলের নাগরিক রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। সিরিয়ায় বোমা বর্ষণ করে মার্কিন যৌথ বাহিনী আইএস-এর ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিলে তাদের বেশিরভাগেরই মৃত্যু হয় বলে ধারণা। কিন্তু মার্কিন যৌথ বাহিনীর তাড়া খেয়ে ক্রমশ দক্ষিণ এশিয়ায় আইএসের শিকড় ছড়িয়ে পড়েছে বলে ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে, শ্রীলঙ্কায় হামলার পর যা নিয়ে আর কোনও সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন: ভুল ধর্মশিক্ষা পেয়েছিল, মারা যাওয়ায় খুশি, বললেন শ্রীলঙ্কায় নাশকতার মূল চক্রীর বোন
আরও পড়ুন: বাড়িতে ঢুকে অভিযান, শ্রীলঙ্কা বিস্ফোরণের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড বাবা ও দুই ছেলে নিহত
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy