টাউন কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্তি ঘিরে হাফলঙ বিজেপিতে নতুন করে কলহ দেখা দিয়েছে। একাংশ কর্মী জোট বেঁধে দল ভাঙারও হুমকি দিয়েছেন। হাফলং টাউন কমিটির চেয়ারম্যান পদ বেশ কিছুদিন থেকে শূন্য পড়েছিল। এগজিকিউটিভ অফিসার দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছিল। নতুন সরকার গঠনের পর বিজেপি নেতাদের অনেকের চোখ ছিল ওই চেয়ারের দিকে। এই পদে থেকে জনগণের টাকায় নিজের শহরের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পিত ভাবে কাজ করা যায়। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পেও অর্থ কম আসে না টাউন কমিটিতে।
এমন ক্ষমতার অধিকারী হওয়ার আশায় ছিলেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বনানী কেম্প্রাই। তাঁর পক্ষে অনেকেই দাবি জানাচ্ছিলেন। কিন্তু গত বুধবার উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদ ওই পদে বিজেপি বিধায়ক বীরভদ্র হাগজেরের ঘনিষ্ঠ অনিল দাওলাগুপোকে নিযুক্তি দেয়। এতেই ক্ষেপে উঠেছেন একাংশ দলীয় নেতা। তাঁদের অভিযোগ, সব সময়েই ওই পদে শাসকদলের নেতাদের বসানো হয়। কিন্তু অনিলবাবুর সঙ্গে বিজেপির কোনও সংশ্রব নেই। প্রাথমিক সদস্যপদও নেই তাঁর। পরোক্ষেও দলের কোনও কাজে কোনওদিন পাওয়া যায়নি তাঁকে।
ক্ষমতায় আসতেই বিজেপি দলীয় কর্মীদের ভুলে যাঁকে-তাঁকে সরকারি ক্ষমতার অধিকারী করে তুললে তা কোনওমতে মেনে নেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন হাফলং মণ্ডল বিজেপি কমিটির সভাপতি দীপানন কেম্প্রাই, জেলা মহিলা মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি মালতী লাংথাসা সহ কয়েক জন। তাঁদের সাফ কথা, বনানীদেবীকে টাউন কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিতে হবে। অনেকদিন থেকে বিজেপির বিভিন্ন স্তরের কর্মীরা নিজের শহরকে সাজিয়ে তোলার স্বপ্ন দেখছিলেন। দল ক্ষমতার আসার পর সে সুযোগ মিলেছে। তবে বনানীদেবীর মত সভাপতি পেলেই তা সম্ভব বলে মনে করেন তাঁরা। কিন্তু দু’দিন আগে নিযুক্তি প্রদান করা হয়েছে, এখনই কি আর পরিষদ তার সিদ্ধান্ত বদলাবে— প্রশ্ন শুনেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সবাই। একসুরে জানিয়ে দেন, তা হলে দলত্যাগের কথাও ভাবতে হতে পারে। প্রয়োজনে বিজেপি-প্রোগ্রেসিভ নামে পৃথক সংগঠন গঠন করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy