Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Agnipath

Agnipath: অগ্নি-হিংসার নেপথ্যে বিভিন্ন কোচিং সেন্টার! নজর তিন রাজ্যেই, গ্রেফতার এক ‘মূলচক্রী’

পুলিশের নজরে রয়েছে বিহার, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশের বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। যেখানে সেনায় নিয়োগের জন্য তরুণদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
পটনা শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০২২ ১২:৫৫
Share: Save:

চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগের কেন্দ্রীয় প্রকল্প ঘিরে বিক্ষোভের অগ্নিশিখা জ্বালানোর নেপথ্যে কি কোচিং ইনস্টিটিউটের (সেনায় চাকরির জন্য যেখানে তরুণদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়) হাত রয়েছে? গত কয়েক দিন ধরে অশান্তির ঘটনায় এই প্রশ্নই উঠেছে তদন্তকারীদের মনে। তার পর থেকেই পুলিশি তদন্তের আতসকাচের তলায় বিহার, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানার বেশ কিছু প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (কোচিং সেন্টার)। গ্রেফতার করা হয়েছে এক ‘মূলচক্রী’কেও।

হিংসাত্মক বিক্ষোভে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যেই এক অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদারকে গ্রেফতার করেছে অন্ধ্র পুলিশ। আবুলা সুব্বা রাও নামের ওই ব্যক্তি বেশ কিছু কোচিং সেন্টার চালান। অগ্নিপথ প্রকল্পের প্রতিবাদে ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অবসরপ্রাপ্ত ওই হাবিলদার অশান্তি পাকানোর ‘মূলচক্রী’ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেকেন্দরাবাদে স্টেশনে খণ্ডযুদ্ধের সময় ৪৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে সময়ই তাঁকে পাকড়াও করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

সুব্বা রাওয়ের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ১০০ জন সদস্যকে পুলিশের সন্দেহভাজনের তালিকায় রাখা হয়েছে। সেকেন্দরাবাদে বিক্ষোভের ঘটনায় তাঁরা জড়িত ছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেকেন্দরাবাদ স্টেশনে প্রতিবাদ প্রদর্শনের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে উস্কানিমূলক বার্তা দিয়েছেন বলে অভিযোগ সুব্বার বিরুদ্ধে। নয়টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালান তিনি, এমনটাই জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।

অন্ধ্রের পাশাপাশি বিহারে গোলমালের ঘটনাতেও কোচিং সেন্টারগুলির ভূমিকা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। শনিবার সে রাজ্যের তারেগনা স্টেশন চত্বরে জিআরপি আধিকারিকদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ বাধে। সেই ঘটনার পরই দু’টি কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়াও পটনার বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপর নজর রাখছে পুলিশ।

পটনার জেলাশাসক চন্দ্রশেখর সিংহ জানিয়েছেন, কোচিং সেন্টারগুলির ইন্ধনেই অশান্তি ছড়ানো হচ্ছে। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলির ভূমিকা খতিয়ে দেখতে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কোচিং সেন্টারের বিভিন্ন ভিডিয়ো বার্তা ও হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পুলিশের হাতে এসেছে বলে দাবি। পটনার এসসপি মানবজিৎ সিংহ ধিঁলো জানিয়েছেন, পটনাতে আটটি কোচিং সেন্টারের উপর নজর রাখা হচ্ছে।

অন্য দিকে, পটনার এক কোচিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষক সুধীর দাবি করেছেন, তাঁর ভিডিয়োর ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। হামলা চালানোর জন্য কাউকে তিনি ইন্ধন দেননি বলে তাঁর দাবি।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE