উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মহাকুম্ভ নিয়ে মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করলেন এসপি প্রধান অখিলেশ যাদব। মুখ্যমন্ত্রীর করা ‘শকুন’ এবং ‘শুয়োর’ উপমার পিছনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁর বক্তব্য, “তিনি অসুস্থের মতো কথা বলছেন। আমরা কেউই তো বলিনি যে গঙ্গা নদীর জলের গুণমান খারাপ। কিন্তু কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড তাই বলেছে। সরকার তাহলে কাকে শুয়োর বলছিল? আমার মনে হয়, দিল্লি এবং লখনউয়ের মধ্যে লড়াইয়ে তারা একে অপরকে গালি দিচ্ছে। যদি উত্তরপ্রদেশ দূষণ বোর্ড বলে যে জল পরিষ্কার এবং দিল্লির দূষণ বোর্ড বলে যে জল খারাপ, তাহলে এর অর্থ হল লখনউ দিল্লিকে শুয়োর বলছিল।”
এসপি নেতা আজ আদিত্যনাথকে নিশানা করে বলেন, “গোরক্ষপুরে শকুনের জন্য কী তৈরি করা হয়েছে? একটি শকুনের প্রজনন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শকুনের নাম দিয়ে তিনি কাকে অপমান করছেন? তিনি কি হারানো প্রিয়জনদের খোঁজে ব্যস্ত লোকদের কথা বলছিলেন? সরকার কি তাদের শকুন বলছে?”
যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যের মহাকুম্ভ আয়োজনের সমালোচনা নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করার পরে তরজা শুরু হয়। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টের উদ্ধৃতি দিয়ে আদিত্যনাথ মন্তব্য করেন, “মহাকুম্ভে সবাই যা চেয়েছিল তা পেয়েছে। শকুন কেবল মৃতদেহ পেয়েছে, শুয়োরেরা ময়লা পেয়েছে, সংবেদনশীল ব্যক্তিরা সুন্দর সম্পর্ক পেয়েছে...।” যোগীর বক্তৃতার প্রতিক্রিয়া জানাতে অখিলেশ তাঁর এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেন, “কিছু লোক মহাকুম্ভে রাজনৈতিক সুযোগসন্ধানী খুঁজছিলেন এবং আত্মপ্রচারের মাধ্যমও খুঁজে নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা তাঁদের নৈতিকতা, সততা, মানবিক সংবেদনশীলতা, বক্তৃতার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। দেশ, সময় এবং স্থানের মর্যাদার কোনও পরোয়া না করে অশ্লীল শব্দের মাধ্যমে চরম নেতিবাচক মানসিকতা প্রকাশ করছেন।” তাঁর কথায়, “মহাকুম্ভের মতো পবিত্র উৎসব নিয়ে কথা বলার সময়ে শব্দ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্মান এবং মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া উচিত।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)