আরুষি-হেমরাজ জোড়া হত্যা মামলা সংক্রান্ত আদালতের যাবতীয় নির্দেশ নিজেদের ওয়েবসাইটে দিয়ে দিল সিবিআই। এখন থেকে কেউ চাইলেই এই মামলা সংক্রান্ত আদালতের পর্যবেক্ষণ ও রায় অনলাইনে দেখতে পারবেন। ২০০৮ সালের মে মাসে নয়ডার জলবায়ু বিহারে নিজের বাড়িতে খুন হয়েছিল কিশোরী আরুষি তলোয়ার। দু’দিন পরে তার ফ্ল্যাটের ছাদ থেকে উদ্ধার হয় তলোয়ারদের পরিচারক হেমরাজের দেহ। এক মাত্র মেয়েকে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত আরুষির বাবা রাজেশ এবং মা নূপুর তলোয়ার এখন জেল খাটছেন। তলোয়ার দম্পতিকে সাজা শোনানোর সময় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত জানিয়েছিলেন, খুনের রাতে তলোয়ারদের বাড়িতে কোনও বাইরের লোক ঢোকার প্রমাণ মেলেনি। সুতরাং রাজেশ আর নূপুর ছাড়া এই খুন আর কেউ করতেই পারেন না।
সম্প্রতি এই জোড়া হত্যা মামলা নিয়ে একটি ছবি ও একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। আর তার পরই ফের শিরোনামে এই হাই প্রোফাইল মামলা। নিজের মেয়ে-জামাইকে নির্দোষ দাবি করে ফেসবুকে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন আরুষির দাদু। ‘তলোয়ার’ ছবিতেও নিহত কিশোরীর বাবা-মাকে নির্দোষ দাবি করে যাবতীয় দায় চাপানো হয়েছে সিবিআইয়ের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির উপর। আর তার পরেই এই মামলা সংক্রান্ত আদালতের সমস্ত নির্দেশ অনলাইনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সিবিআই। যদিও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ইলাহাবাদ হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন তলোয়ার দম্পতি। কিন্তু অভিযোগ, পর পর চার দিন আদালতে হাজিরা দেননি তাঁরা। আদালত এর ব্যাখ্যা চাইলে রাজেশ ও নূপুর তলোয়ারের বক্তব্য ছিল, তাঁদের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে অন্য মামলায় ব্যস্ত। ছুটি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টে কী মামলা চলছে, সেই সময় তা জানতে চেয়েছিল হাইকোর্ট। পরে তলোয়ারদের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে ঠিক কোন কোন মামলা লড়ছেন তার বিস্তারিত নথি চেয়েছে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy