তামিলনাড়ুর পোল্লাচির যৌন নির্যাতন কাণ্ডে ৯ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনাল নিম্ন আদালত। ২০১৯ সালের এই ঘটনায় ছ’বছর পর সাজা ঘোষণা করা হল। মঙ্গলবার সকালে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ছয় অভিযুক্তকে কোয়েম্বাটুরের আদালতে হাজির করানো হয়।
বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন ২০০-র বেশি নথি খতিয়ে দেখা হয়। শুধু তা-ই নয়, ৪০০-র বেশি ডিজিটাল প্রমাণও পেশ করা হয় রাজ্যের তরফে। রাজ্যের আইনজীবীর বক্তব্য, ‘‘ভুক্তোভোগীদের ডিজিটাল সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ করা হয়েছিল। তবে সাক্ষীদের পরিচয় যাতে প্রকাশ্যে না আসে, সেই দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছিল। তাঁদের নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত করা হয়েছিল রাজ্যের তরফে।’’ আট নির্যাতিতা বয়ান দিয়েছেন এই মামলায়। তাঁদের বয়ান খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
২০১৯ সালে পোল্লাচিতে এই যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রথম প্রকাশ্যে আসে। এক জন কলেজ ছাত্রী-সহ আট জন নারী অভিযুক্তদের লালসার শিকার হন। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে সব ক’টি অপরাধ সংগঠিত হয়। যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ, ভিডিয়ো করে পরে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগ উঠেছিল। তদন্ত চলাকালীন পুলিশ এই অপরাধে একের পর এক কালো পর্দা উন্মোচন করে। তবে পুলিশি তদন্ত সন্তুষ্ট ছিল না তৎকালীন বিরোধী দলগুলি। তামিলনাড়ুর তৎকালীন শাসকদল এডিএমকে-এর বিরুদ্ধে একযোগে বিরোধীরা সরব হয়। পরে এই মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে সিবিআই।
আরও পড়ুন:
অভিযোগ, ওই ৯ অভিযুক্ত ধর্ষণ, গণধর্ষণের পর তা ভিডিয়ো করে রাখতেন। সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে ব্ল্যাকমেলও করা হত। মুখ খুললে ভিডিয়ো ফাঁসের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ছিল। এত দিনে সেই মামলার নিষ্পত্তি ঘটল।