ছাত্রকে মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের এক সরকারি স্কুলে। সম্প্রতি কেরলের কাসারগড় জেলার ওই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকায়। বিতর্কের মাঝে এ বার স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেরলের শিক্ষা দফতর।
গত ১১ অগস্ট ওই স্কুলের দশম শ্রেণির এক ছাত্রকে প্রধান শিক্ষক মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। পরিবারের দাবি, মারধরের চোটে পড়ুয়ার কানের পর্দা ফেটে গিয়েছে। কেরলের শিক্ষামন্ত্রী ভি শিবনকুট্টি জানান, ঘটনাটি জানার পরে ওই পড়ুয়ার মায়ের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে। ছাত্রের মায়ের বক্তব্য, স্কুলে প্রার্থনা সঙ্গীত চলাকালীন তাঁর ছেলে পা দিয়ে লাথি মেরে পাথর সরাচ্ছিল। ওই ঘটনা দেখেই প্রধান শিক্ষক তাঁর ছেলের গালে থাপ্পড় মারেন। পরিবারের দাবি, ওই ঘটনার জেরেই পড়ুয়ার কানের পর্দা ফেটে গিয়েছে।
ছাত্রের মায়ের থেকে এ কথা শোনার পরে শিক্ষা দফতরের সহকারী ডিরেক্টরকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি কেরলের অন্য এক সরকারি স্কুলেও ছাত্রকে তালাবন্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছিল। পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্র দেরি করে স্কুলে আসার কারণে একটি অন্ধকার ঘরে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতেও স্কুল শিক্ষা অধিকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কেরলের শিক্ষামন্ত্রী শিবনকুট্টি।
আরও পড়ুন:
কয়েক মাস আগে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে এক বেসরকারি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রকে স্কুলের মধ্যে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনাতেও গ্রেফতার হন স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক। আহত ওই ছাত্রের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছিল।