.
রাত দুটো। বিছানা। অন্ধকার।
ছাদ ফুঁড়ে একটা শকুন এসে বসল
আমার বুকের ওপর। লম্বা গলা। এদিক ওদিক ঘোরাচ্ছে।
তক্ষুনি কে যেন কোথা থেকে
নিমেষে একটা ছুরি চালিয়ে উধাও।
শকুনের মুন্ডুটা নেই। কাটা নলি দিয়ে উগরোচ্ছে
থকথকে কাদার মতো রক্ত। সোজা আমার মুখে পড়ছে।
আমি মুখ সরিয়ে নিতে পারছি না।
কার যেন গম্ভীর গলার নির্দেশ:
Don’t bleed on my country.
Don’t bleed. We say don’t...
উড়ে পালাচ্ছে শকুন, দলেদলে গলাকাটা শরণার্থী শকুন...
পিছনে ফৌজি গাড়ির আওয়াজ, আবার সেই নির্দেশ:
Go... Go elsewhere
Throw your dirty blood wherever you can... but
Not inside our border... not...
আমি উড়ে চলেছি ওই শকুনদের সঙ্গে...
আমার মাথাটা কোথায়? মাথাটা?
আমার থাকার জায়গাটা কোথায়?
আমার লেখার জায়গা?
আমার দূষিত রক্ত আমি ফেলব কোনখানে?
২
পাখি বাঁচাবে জীবন, এখন শুধু পাখি বাঁচাবে
ঝড়ে বাসা উল্টে নীচে পড়া, বালকের গুলতি লেগে ঘায়েল হওয়া
বেড়ালের মুখ থেকে ছাড়িয়ে আনা
পাখি বাঁচাবে
ছাতারে, শালিক, দাঁড়কাক, পায়রা, চড়ুই...
বাঁচাবে
এছাড়া তার অন্য কোনও কাজ নেই
সে এমন এক সীমান্তে এসে দাঁড়িয়েছে
খাদ যেখান থেকে কয়েক-পা মাত্র দূর...
এখন, খাদের ধারে বসেই
রোজ সকালে দু’ঘণ্টা করে পাখি বাঁচাবে এই জীবন
পাঁচ, সাত, আট, দশ লাইনের পাখি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy