মুখ্যমন্ত্রী ছেলের সঙ্গে ঝামেলার মধ্যেই কুশওয়াহা নেতা অমর সিংহকে দলে ফেরালেন মুলায়ম সিংহ যাদব।
রাজ্যসভার জন্য সমাজবাদী পার্টি যে সাত জনের নাম আজ চূড়ান্ত করেছে, তার মধ্যে বেণীপ্রসাদ বর্মা, সঞ্জয় শেঠ, সুখরাম যাদব, বিশ্বম্ভর নিষাদ, অরবিন্দ সিংহ ও রেবতীরমণ সিংহের সঙ্গে রয়েছে অমর সিংহের নামও। দলীয় সূত্রের খবর, এর আগেও অমর সিংহকে ঘরে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন ‘নেতাজি’ মুলায়ম। কিন্তু পুত্র উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশের অনুগত রামগোপাল যাদব, আজম খানেরা তা প্রতিহত করেছিলেন। এ বারেও বিরোধ যে ছিল না, তা নয়। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই মুলায়ম আজ অমর সিংহের নাম দলের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকে চূড়ান্ত করলেন। আজ লখনউয়ে এই বৈঠকটি হয়।
দলের সূত্র অবশ্য বলছে, অমরের নাম ওঠার পরে আজম খান আজও বিরোধিতা করে ওয়াক আউট করেন। অখিলেশ অনেক বিষয়েই নেতাজির পরামর্শ মানছেন না। রামগোপাল, আজম খানেরা তাঁকে বেশি পরিচালিত করছেন। তাতে ভারসাম্য আনার জন্যই নেতাজি এ বারে নিজের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে অমর সিংহকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিলেন। কিন্তু মুলায়ম ও অমর সিংহের ঘনিষ্ঠ নেতা শিবপাল বলেন, ‘‘কোনও নামেই কোনও বিরোধিতা হয়নি। প্রতিটি নামই ঐকমত্যের ভিত্তিতে চূড়ান্ত হয়েছে।’’ রাজ্যসভায় নাম প্রস্তাবের পর এ বার কী দলেও অমর সিংহের পাকাপাকি প্রত্যাবর্তন হবে? শিবপাল তার জবাবে বলেন, ‘‘কবে কী ভাবে সেটি হবে, তা নেতাজিই সিদ্ধান্ত নেবেন।’’ এক সময়ে অমর সিংহ শুধুমাত্র মুলায়মের ডান হাতই ছিলেন না, এ দেশের রাজনীতির অনেক পালাবদলের কান্ডারি ছিলেন তিনি। বহিষ্কারের পর অনুগত জয়া প্রদাকে নিয়ে একটি দলও গড়েছিলেন। কিন্তু সেটি দানা বাঁধেনি। কিন্তু তাতেও প্রাসঙ্গিকতা হারাননি কখনও।
তবে সমাজবাদী পার্টির এক নেতা বলছেন, অমরকে দলে ফেরানোর বিষয়ে মুলায়ম ও অখিলেশের আগেই ঐকমত্য হয়ে গিয়েছিল। আজ শুধু আনুষ্ঠানিক সিলমোহরটুকু পড়েছে। সমাজবাদী পার্টিতে বরাবরই দু’টি শিবির। বাপ-বেটা সুকৌশলে দুই শিবিরকে সন্তুষ্ট রাখার চেষ্টা করেন। ২০১০ সালে অমর সিংহকে দল থেকে ছ’বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এ বছরের গোড়াতেই সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে। তার পর থেকেই অমর ঘরে ফিরছেন বলে জল্পনা ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy