অখিলেশ যাদব ও মায়াবতী।— ফাইল চিত্র।
১২ তারিখ বেলা ১২টায় ‘বুয়া-বাবুয়া’ জোটের কথা শোনাবেন। বিজেপি শিবিরে কম্পন, উত্তরপ্রদেশে এসপি-বিএসপির জোট হলে খড়কুটোর মতো উড়ে না যায় দল! দলে আশঙ্কা দেখে রামলীলা ময়দানে রামন্দিরের কথা তুললেন অমিত শাহ। বললেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টে মামলা বকেয়া। কংগ্রেসও মামলা পিছোতে চাইছে। কিন্তু সাংবিধানিক পথেই অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ হবে।’’ উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা বিজেপি কর্মীরা ভরসা পেলেন কিছুটা। গলা তুললেন, ‘‘জয় শ্রী রাম।’’ বক্তৃতা কিছুটা থামাতে হল অমিতকে। বিজেপি নেতারা তা-ও সন্দেহে। বলছেন, ‘‘শুধু রামমন্দির দিয়ে কী ভোটে জেতা যাবে?’’
দিল্লিতে বিজেপির মহাসম্মেলনে আগামিকাল বেলা ১২টা নাগাদই বলার কথা নরেন্দ্র মোদীর। কিন্তু মায়াবতী ও অখিলেশ সেই সময়টাই বেছে নিয়েছেন সাংবাদিক বৈঠকের জন্য। আর সেই ঘোষণাও করেছেন আজ, যখন বিজেপি সম্মেলন শুরু হচ্ছে। ফলে লখনউয়ে বসে দু’দিনের বিজেপির সম্মেলন অনেকটাই গ্রাস করে ফেললেন মায়া-অখিলেশ। বিজেপি নেতারাও এখন মোদীর বক্তৃতার সময় পিছোতে চাইছেন। দলের এক নেতা বলেন, ‘‘এসপি-বিএসপির সঙ্গে কংগ্রেস মিলেমিশেই কাজ করছে। মায়াবতীর জন্মদিনেই জোট ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু আজ বিজেপির সম্মেলনের থেকে নজর কাড়ার কৌশল দেখে মনে হচ্ছে, এই ফন্দি কংগ্রেসেরই। রাহুল গাঁধীই আজকাল মোদীর যাবতীয় প্রচার ভেস্তে দেওয়ার কৌশল নিচ্ছেন।’’
যোগী আদিত্যনাথ বললেন, ‘‘ওরা আসলে নিজেদের অস্তিত্ব বাঁচাতে জোট বাঁধছে। মানুষ সব জানে। তারা সে ভাবেই ভোট দেবে।’’ কিন্তু অমিত শাহ আগেই কবুল করেছেন, উত্তরপ্রদেশে এসপি-বিএসপি জোট হলে বিজেপি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। কর্মীদের অভয় দিতে শাহের দাবি, ‘‘বুয়া-বাবুয়া জোট বাঁধলেও এনডিএ গত বারের পাওয়া ৭৩টি আসনের একটি বেশিই পাবে, কম হবে না। আগে যাঁরা পরস্পরের মুখ দেখতেন না, তাঁরা এখন নরেন্দ্র মোদীকে ভয় পাচ্ছেন। বুঝতে পারছেন, একার জোরে মোদীকে হারানো সম্ভব নয়। আগে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সকলে জোট বাঁধত। এখন বিজেপির বিরুদ্ধে বাঁধছে। এটি বিজেপির গর্ব।’’ কিন্তু মায়া-অখিলেশের জোটের বিরুদ্ধে কোন মন্ত্রে বিজেপি জিতবে? অমিত যতই ভরসা জোগান দলের নেতাদের মনে প্রশ্ন। এক, তবে কি ভোটের আগে রামমন্দির নিয়ে আইন বা অধ্যাদেশই আনবে মোদী সরকার? দুই, তাতেও কি বৈতরণী পার হবে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy